পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अभश्छ। nominosans সন্ধ্যা হইতে সেই ঘমে পাহারায় নিযুক্ত ছিল, বাহিরে একটা কনেষ্টবল পাহারা দিতেছিল, কেমন করিয়া অন্য কেহ আমাদের বাড়ীতে অন্যের অলক্ষ্যে প্রবেশ করিতে পারে ? বিশেষতঃ আমার লাইব্রেরী ঘরের কিবাট খোলা ছিল, সেই লাইব্রেরী ঘরের পাশের ঘরেই সুরেন্দ্রনাথের মৃতদেহ ছিল ; কাহাকেও সে ঘরে যাইতে হইলে লাইব্রেরী ঘরের সম্মুখ দিয়া যাইতে হইবে। যদিও আমি পরে নিদ্রিত হইয়া পড়িয়াছিলামসে নিদ্রা যতই কেন গভীর হউক না, একটু শব্দেই আমি জাগিয়া উঠিতম। সেলিনার সেই মৃদু করাঘাতের শব্দেই যেকালে আমি জাগিয়া উঠিয়াছিলাম, তখন আমার ঘরের সম্মুখ দিয়া কেহ চলিয়া গেলে তাহার পায়ের শব্দেও আমার ঘুম ভাঙিয়া যাইত। অপর কেহ যে, অন্যের অজ্ঞাতে আমার বাড়ীতে প্ৰবেশ করিতে পারিয়াছিল, ইহা কেমন করিয়া সম্ভবপর হইতে পারে ? অথচ, যে ঘরে শব্ব ছিল, সে ঘরের জানালা ঘরের ভিতর হইতে খোলা হইয়াছে। কি আশ্চৰ্য্য ব্যাপার । সকলই যেন একটা আরব্য উপন্যাসের ভৌতিক কাণ্ড বলিয়া বোধ হইতেছে। যা-ই হোক, যতক্ষণ না রহিমের জ্ঞান হইতেছে, ততক্ষণ এ রহস্য এমনই গভীর হইয়াই থাকিবে । যখন দত্ত সাহেব এই রহস্তোস্তুেদের জন্য একমাত্র রহিমের প্রতীক্ষা করিতেছেন, তখন রহিমের অবস্থা নিতান্ত শোচনীয় । জ্বরে তাহার ৫ সর্বাঙ্গ পুড়িয়া যাইতেছে, চক্ষুঃ রক্তবর্ণ হইয়া উঠিয়াছে, এবং ঘন ঘন নিঃশ্বাস বহিতেছে। সে কিছুতেই নিজেকে স্থির রাখিতে পারিতেছে নাবিছানায় পড়িয়া ছটফট করিতেছে ; এক একবার উদাসদৃষ্টিতে গৃহের চারিদিকে চাহিয়া, দন্তে দন্ত নিস্পীড়ন করিয়া বিকট শব্দ করিতেছেআর প্রলপ-চীৎকারে মুহুমুহুঃ সমগ্ৰ অট্টালিকা প্ৰকম্পিত ও প্রতিধ্বনিত করিয়া তুলিতেছে। তাহার অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়।