পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ 5R 장-자 দত্ত সাহেব বাটীতে আসিয়াই দ্রুতপদে রহিমের ঘরে গিয়া উপস্থিত হইলেন। দত্ত সাহেবকে আসিতে “দেখিয়া গফুরের মা তাড়াতাড়ি উঠিয়া দাড়াইল । দত্ত সাহেব তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “রাহিম এখন কেমন আছে ?” গফুরের মা বলিল, “সেই রকমই। এই কতক্ষণ ডাক্তার সাহেব এসেছিলেন, তিনি বললেন, রহিমের বকুনি না থামলে দাওয়াই দিয়ে কোন ফয়দা হবে না।” দত্ত সাহেব আপন মনে বলিলেন, “যতক্ষণ না রহিমের মৃত্যু হয়, ততক্ষণ ডাক্তার বেণ্টউডের দাওয়াইয়ে যে কোন ফয়দা হবে না, তা” আমি বেশ জানি। এইরূপ অবস্থায় এখন রহিম মারা গেলে, সুরেন্দ্রনাথের হত্যাকারীদের সন্ধান করিবার আর কোন উপায়ই থাকিবে না-এ হত্যারহস্য চিরকাল এমনই প্ৰচ্ছন্ন থাকিয়া যাইবে।” রুগ্ন রহিমের হস্তপদাদির বিক্ষেপে বিছানার চাদরখানা স্থানে স্থানে গুটিাইয়া গিয়াছিল, দত্ত সাহেব তাহা টানিয়া ঠিক করিয়া দিতে লাগিলেন। সেই সময়ে কেমন একটা অননুভূতপূৰ্ব্ব গন্ধ তাহার নাসারান্ধে, প্রবেশ করিতে লাগিল। কিন্তু সেই গন্ধটা কোথা হইতে আসিতেছে, ঠিক করিতে পারিলেন না। তিনি বিশেষ মনোযোগের সহিত ঘরের চারিদিক দেখিতে লাগিলেন। চারিদিক চাহিয়া, কোথায় কিছু দেখিতে না পাইয়া, যখন তিনি রহিমের মস্তকের কাছে মুখ লইয়া গেলেন, তখন সেই গন্ধটা R