পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R9 জীবন্মত-রহস্য raping বিসদৃশ-ব্যবহার নির্জন রাত্রে ভীষণভােব ধারণ করিয়া দত্ত সাহেবের সর্বাঙ্গে যেন কশাঘাত বর্ষণ করিতে লাগিল। অমরেন্দ্রের কথা যতই ভাবিতে লাগিলেন, তাহার প্রতি দত্ত সাহেবের রাগ আরও প্ৰবল হইতে প্ৰবলতর হইতে লাগিল, এবং শয্যা যেন কণ্টকাকীর্ণ হইয়া উঠিল। তিনি বুঝিলেন, যতদিন না। এই সকল ভীষণ দুর্ঘটনামূলক রহস্তের উদ্ভেদ হইতেছে, ততদিন মনে শান্তি এবং চিন্তা-রাক্ষসীর হাত হইতে অব্যাহতি লাভ করা একান্ত দুৰ্ঘট । কল্য প্ৰাতে উঠিয়া যে কাজগুলি দত্ত সাহেবকে আগে শেষ করিতে হইবে, তিনি সর্বাগ্রে তাহারই একটা তালিকা প্ৰস্তুত করিয়া ফেলিলেন ; একবার জুলেখার সহিত দেখা করিয়া, যেরূপে হউক তাহার মুখ দিয়া ভিতরকার সমুদয় কথা বাহির করিয়া লইতে হইবে। এদিকে ডাক্তার বেণ্টউড ও ইনস্পেক্টর গঙ্গারাম বাবুকে ডাকিয়া আনিবার জন্য আশানুল্লাকে প্রেরণ করিতে হইবে । তাতারা আসিলে সংগৃহীত প্ৰমাণ-প্ৰয়োগ গঙ্গারামের দ্বারা বেণ্টউডকে গ্ৰেপ্তার করুত্বইতে হইবে। তখন পুলিসের চেষ্টায় এবং বিচারকালীন জোবানবন্দীতে কোন অভিপ্ৰায়ে বেণ্টউডের এই সকল ষড়যন্ত্র এবং তাহার ভিতরের কথা সমুদয় প্ৰকাশ হইয়া পড়িবে। এইরূপে সোজা পথ অবলম্বন করাই শ্রেয়ঃ স্থির করিয়া দত্ত সাহেব রাত্রের অবশিষ্টাংশের কিয়দংশ নিদ্রাবিষ্ট ও কিয়দংশ স্বপ্নাবিষ্ট হইয়া এবং জাগিয়া অতিবাহিত করিলেন । দত্ত সাহেব যখন শয্যা ত্যাগ করিলেন, তখন পূৰ্ব্বকাশে প্ৰভাতোদয় হইয়াছে। নবীন সুৰ্য্যের রক্ত রশ্মিতে চারিদিক ঝল ঝলা করিতেছে। এবং চারিপ্রান্ত হইতে অশ্রান্ত কলরব উঠিয়া সুষুপ্ত বিশ্বজগৎকে দ্রুত জাগ্ৰত করিয়া তুলিতেছে। দেবদারুগাছের শাখা-প্ৰশাখা দোলাইয়া, সরসীবক্ষ উৰ্ম্মিচঞ্চল করিয়া স্নিগ্ধস্পৰ্শ প্রভাতবায়ু বহিতে আরম্ভ করিয়াছে। হাত