পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ ভীষণ পক্ষ সমর্থন প্রাগুক্ত জোবানবন্দীতে সমাগত জনতা বেণ্টউডকে সম্পূর্ণরূপে দোষী স্থির করিয়া নিঃসূন্দেহ হইতে পারিল । মোক দমাও এক প্রকার শেষ হইয়া আসিল । এখন অমরেন্দ্রনাথের মুখমণ্ডল পূৰ্ব্বাপেক্ষা আরও মলিন হইয়া গিয়াছে। র্তাহার মুখের দিকে চাহিয়া দেখা যায় না। তিনি শেষ বক্ততার জন্য ধীরে ধীরে উঠলেন। তঁহাকে উঠিতে দেখিয়া জনতার মৃদুগুঞ্জন একেবারে থামিয়া গেল, এবং দশকদলের অনেকেই মনে মনে স্থির করিলেন, অমরেন্দ্রনাথ বেণ্টউডের পক্ষসমর্থনে অনর্থক চেষ্টা করিতেছেন, আর কোন উপায় নাই। অমরেন্দ্রনাথ উঠিয়া প্ৰথমে একবার অদূরবৰ্ত্তিনী সেলিনার মুখের দিকে চাহিলেন। সেলিনাও তাঁহার দিকে অত্যন্ত আগ্রহপূর্ণদৃষ্টিতে চাহিয়াছিল। তাহার পর অমরেন্দ্ৰনাথ একবার ডাক্তার বেণ্টউডের দিকে চাহিলেন। দেখিলেন, সাক্ষী দ্বারা অপরাধী সাব্যস্ত হইয়াও র্তাহার কোন ভাববৈলক্ষণ্য ঘটে নাই, তঁহার মুখভাব তখনও বেশ প্রশান্তভয় বা আকুলতার চিহ্নমাত্ৰও নাই। বেণ্টউড, অমরেন্দ্রনাথকে তঁাহার দিকে চাহিতে দেখিয়া, অমরেন্দ্রনাথের মুখের দিকে চাহিয়া একবার হাসিলেন। সে হাসিতে অমরেন্দ্ৰনাথ শিহরিয়া উঠিলেন। তিনি তাড়াতাড়ি সেই বিষ-গুপ্তিটা তুলিয়া লইয়া, বিচারক এবং জুরিগণকে যথাবিহিত সম্বোধন করিয়া বলিতে আরম্ভ করিলেন, “সাক্ষিগণের জোবানবন্দীতে