ইহা কি সম্ভব ? Sግሕs দত্ত । [ বাধা দিয়া ] ফাসীকাঠে ঝুলিতে হয়। কেমন ? বেণ্ট। না, তাহা ঠিক নয় ; আমাকে ফাঁসী কাঠে ঝুলিতে হইবে না—সে বিশ্বাস আমার মনে প্রচুর পরিমাণে ছিল ; সেজন্য আর্মি একটুও ভাবি নাই। কেনই বা ভাবিতে যাইব ? আমি মনে মনে বেশ জনিতাম, যাহাঁই ঘটুক না কেন—চারিদিক্ হইতে বিপদ আসিয়া যেমন ভাবেই আমাকে জড়ীভূত করুক না কেন-আমি নিজেকে নিজে নিশ্চয়ই রক্ষা করিতে পারিব। আর অমরেন্দ্ৰনাথ মে, এরূপ ভাবে আমার পক্ষ-সমর্থন করিবে, তাহাও আমি পূর্বে ভাবি নাই। কি আশ্চৰ্য্য! এমন জানিলে আমি কখনই তাহাকে আমার পক্ষ-সমর্থনের জন্য অনুরোধ করিতাম না- এমন একটা শোচনীয় কাণ্ড কখনই ঘটতে দিতাম না । “আমার রে, হতভাগা-&তার মনে এই ছিল |” বলিয়া দত্ত সাহেব মুখ নত করিলেন। র্তাহার চক্ষু দুটি জলে পূর্ণ হইল। বেণ্টউড কহিলেন, “অমর •যে এমন ভয়ঙ্কর নিৰ্বোধি ছিল, তাহা আমি পূর্বে জানিতাম না। একটা স্ত্রীলোকের জন্য নিজে আত্মহত্যা করে, এ জগতে এমন নিৰ্ব্বোধ। আর কে আছে?” দত্ত সাহেব কহিলেন, “সেই স্ত্রীলোকেরই জন্য তুমিও তা নিজের জীবন খুব সঙ্কটাপন্ন করিয়াছিলে। ভাগ্যক্রমে মৃত্যুর হাত হইতে রক্ষা পাইয়াছি।” সরলভাবে বেণ্টউড কহিলেন, “আপনি যাহা মনে করিয়াছেন, তাহা ঠিক নয়। সেই স্ত্রীলোকের জন্য নহে, তাহার অতুল্লৈশ্বৰ্য্যের জন্য আমি নিজেকে বিপদাপন্ন করিয়াছিলাম মাত্ৰ-তা” ইহাতে মৃত্যুর হাতে পড়িবার ত কিছুই দেখি না। আমি এখনও বলিতেছি, নিজেকে রক্ষা করিতে পারিব, এ ধারণা আমার মনে বরাবরই খুব প্ৰবল ছিল।”