পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৩১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 জীবন্মত-রহস্য পরীক্ষণে বেণ্টউড বাতিদান হইতে মোম বাতিটা তুলিয়া লইলেন, এবং নিজের পকেট হইতে একটা দিয়াশালাই বাঠির করিয়া সেই বাতিটা জ্বলিলেন। গলিত মোমের বিন্দুগুলি নিঃসৃত হইয়া যাহাতে ঠিক গ্লাসের মধ্যে পড়ে, এরূপভাবে সেই প্ৰজ্বলিত মোমের বাতি উদ্ধে তুলিয়া ধরিয়া, তিনি দত্ত সাহেবকে কঠিলেন, “যতক্ষণ না গ্লাসের জলে পচিশ ফোটা মোম পড়ে, ততক্ষণ আপনি একদৃষ্টি এই গ্রাসের দিকেই চাহিয়া থাকি বেন ।” দত্ত সাতে বা স্থিরলক্ষ্যে গ্লাসের দিকে চাহিত্মা রছিলেন। বেণ্টউড গণনা করিয়া এক-এক বিন্দু গলিত মোম সেই গ্লাসের জলে ফেলিতে লাগিলেন। দত্ত সাঠেব দেখিলেন, গণিত মোম বিন্দু গুলি গ্লাসের জলে পড়িয়া জমাট বাধিয়া ছোট ছোট ফোটা সাদা ফুলের মত দেখাইতেছে । দত্ত সাহেব সাশ্চৰ্য্যে আরও দেখিলেন, একটির পর একটি করিয়া ক্ৰমান্বয়ে উপর হইতে গলিত মোমের বিন্দুগুলি গ্লাসের জলে পড়িতেছে ; সেই সঙ্গে গ্লাসের জল ও ক্রমশঃ কমিয়া যাইতেছে। পচিশ ফোটার শেষ ফোটা যখন পড়িল, তখন গ্লাসে আদৌ জল নাই। বেণ্টউড কহিলেন, “এখন একবার ভাল করিয়া দেখুন, গ্লাসে জল আছে কি না। ’ গ্লাস স্পশ করিবেন না ।” দত্ত সাহেব বিশেষ মনোযোগসহকারে দেখিলেন, কিছুমাত্র জল নাই। কহিলেন, “কই, এখন আর জল দেখিতে পাইতেছি না।” বেণ্টউড কহিলেন, “ভাল, যতক্ষণ না আর পচিশ ফোটা মোম পড়ে, ততক্ষণের জন্য আবার আপনি গ্লাসের দিকে একদৃষ্টি চাহিয়া থাকুন। অন্যদিকে চাহিবেন না ।” দত্ত সাহেব তাহাই করিলেন। দেখিলেন বেণ্টউড এবার এক হইতে গণনা আরম্ভ না করিয়া, পচিশ হইতে বিপরীত গণনা আরম্ভ