পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন্মত-রহস্য এখন কলিকাতায় রহিয়াছে, একজন সুদক্ষ ডিটেক্‌টিভের জন্য তাহাকে টেলিগ্ৰাফ করিলেন না কেন ? তাহা হইলে অনেকটা কাজ হইত।” দত্ত। [ সাশ্চর্য্যে ] অমরেন্দ্ৰনাথ যে এখন কলিকাতায়, এ কথা আপনি কিরূপে জানিলেন ? বেট। আজ সন্ধ্যার পরে সুরেন্দ্রনাথের মুখেই এ কথা শুনিয়াছিলাম । দত্ত। আজ সন্ধ্যার পরে । সুরেন্দ্ৰনাথ কি আজ। আপনার সহিত দেখা করিতে গিয়াছিল ? বেণ্ট । হাঁ, আজ অপরাহে আমার সহিত দেখা করিবার জন্য সুরেন্দ্রনাথকে আমি একখানা পত্ৰ লিখিয়াছিলাম। আশানুল্লা সেই পত্ৰ दश्। उigन । দত্ত। হঁয়, সে একবার ঐ সময়ে আসিয়াছিল বটে। কোন প্রয়ে|- জনে আপনি সুরেন্দ্রনাথকে আপনার সহিত দেখা করিতে বলিয়াছিলেন ? বেণ্ট। তেমন বিশেষ কোন প্রয়োজন ছিল না ; মিস সেলিনা পীড়িত । আমার বিশ্বাস, সেলিনার মা সেলিনার এই পীড়ার কারণ। হঠাৎ তিনি সুরেন্দ্ৰনাথের সহিত সেলিনার দেখা-সাক্ষাৎ একেবারে বন্ধ করিয়া ভাল কাজ করেন নাই। বিশেষ চিন্তার পরে আমি বুঝিলাম, সুরেন্দ্ৰনাথ সেলিনার হৃদয়ে যেরূপ সুদৃঢ় আসন স্থাপন করিয়াছে, তাহাতে সেখানে আর কাহারও স্থান হইবে না। আরও বুঝিতে পারিলাম, যদি সেলিন সুরেন্দ্ৰনাথের সহিত মিলিতে না পারে, তাহা হইলে সে অধিক দিন বাচিবে না ; এবং তাহার কোমল হৃদয় একটু আঘাতেই ভাঙিয়া যাইবে। আমি যতই চেষ্টা করি, আমার আশা যে, কখনও সফল হইবে না, এ বিশ্বাস যখন দৃঢ় হইল, তখন আমি অনৰ্থক কেন অপরের সুখ-সৌভাগ্যের অন্তরায় হই, মনে করিয়া সুরেন্দ্রনাথকে ডাকিয়া