বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জীবন বীমা - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫০
দারোগার দপ্তর, ১৬৩ সংখ্যা।

আছে, তাহার ঠিক সংবাদ জানিতে পারেন নাই; তবে উহারা যে পশ্চিমের কোন স্থানে অবস্থিতি করিতেছে, তাহাতে কিছুমাত্র সন্দেহ নাই। তিনি আরও কহিলেন, উহারা যেখানেই থাকুক, দুই দিনে হউক, দশ দিনে হউক, তাহার সন্ধান তিনি পাইবেনই, ও যখন যেরূপ সংবাদ তিনি প্রাপ্ত হইবেন, তখনই সেই সংবাদ তিনি আমাকে প্রদান করিবেন। এই বলিয়া জমিদার মহাশয় সেই দিবস আমার নিকট হইতে বিদায় গ্রহণ করিলেন।

 চারি পাঁচ দিবস মধ্যেই তিনি পুনরায় আসিয়া আমার সহিত সাক্ষাৎ করিলেন। ও কহিলেন, কৃষ্ণরাম যে এখন কোথায় আছে, তাহা তিনি জানিতে পারেন নাই, কিন্তু তাহার জামাতা যাহাকে তিনি সঙ্গে করিয়া লইয়া গিয়াছিলেন, তিনি গত কল্য একাকী ফিরিয়া আসিয়াছেন। অপর লোক দ্বারা তিনি তাহার নিকট হইতে কৃষ্ণরামের সংবাদ গ্রহণ করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন কিন্তু কৃতকার্য হইতে পারেন নাই। তাহার জামাতা এখন যে স্থানে অবস্থিতি করিতেছেন, তাহা তিনি অবগত আছেন।

 জমিদার মহাশয়ের নিকট হইতে এই সংবাদ প্রাপ্ত হইয়া আমার মনে অনেক আশার সঞ্চার হইল। ভাবিলাম, তাহার জামাতাকে এখন কোনরূপে হস্তগত করিতে পারিলেই আমদিগের কার্য্য অনায়াসেই সিদ্ধ হইবে। মনে মনে এইরূপ ভাবিয়া, আমি তথনই সেই জমিদার মহাশয়ের সঙ্গে তাহার উদ্দেশে গমন করিলাম। ব্রজবন্ধুর বাড়ীর নিকটেই কৃষ্ণরামের জামাতা অবস্থিতি করিতেছিলেন, সেইস্থানে গমন করিয়া তাহাকে