পাতা:জীবরহস্য.pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* * জীবরহস্য। নে সেও কাকা করিয়া ক্রমদন করিত। বিধাতার বিড়ম্বনায় সে যাত্রা কুক্করের পা আর সুস্থ হইল না, যাৰ জীৱন তাহাকে খঞ্জ হইয়া কালযাপন করিতে হইল । তাহার প্রভূ তাহাকে আপন আস্তবলে রাখিয়া দিলেন, ঐ অবস্থায় কাকটা দিবার ত্রি তাহার কাছে বসিয়া থাকিড, মধ্যে২ চঞ্চদ্বারা তাহাকে খাদ্যসামগ্ৰী আনিয়া দিত, অনুষঙ্গী বন্ধুকে একাকী ফেলিয়। সে কোথাও যাইভ না । এক দিন সন্ধ্যার পূৰ্ব্বে সহিস না জানিয়া অশ্বশালার দ্বার রুদ্ধ করিয়াছিল, দৈবক্রমে কাকটি তখন বাহিরে ছিল, দ্বার রুদ্ধ করিতে দেখে নাই । পীড়িত বন্ধুর নিকটে যাইবার নিমিত্ত রাত্রিকালে সে বিশেষ চেষ্টা করিতে লাগিল, নখ দিয়া প্রবেশদ্বার এমনি অ চড়াইতে অগ্রস্তু করিল, যে কপাটের স্থানেই ছিদ্র হইয়া গেল । তাহার কাক। শব্দে এক জন ভূত্যের নিদ্রা ভঙ্গ হইলে সে দেখিতে পাইল যে, আর কিয়ৎকাল না উঠিলে অবশ্যই কাকটা বলে দ্বার করিয়। গৃহের অভ্যস্তরে প্রবেশ করিত | পর দিন প্রাতঃকালে বাটীর কৰ্ত্ত ভদ্র মহাশয় এই ব্লু ভান্ত শ্রবণ করিয়া সাতিশয় বিময়াপন্ন হইলেন, কুন্তু প্লাদি চতুষ্পদ জন্তুর ন্যায় কাকপক্ষী সহবাসী বন্ধুর মঙ্গলসাপনে বিশেষ যত্নবান হয়, ইহা তা হার উত্তম উপলব্ধ হইল । সচরাচর যেরূপ দেখা যায়, চাতুর্ঘ্য ও শঠত বিষয়ে কাকপক্ষী আর২ চতুষ্পদ পশু অপেক্ষ কোনমতেই স্থান নহে । লণ্ডন নগরের চিড়িয়াখানায় একবার একটা ব্লহৎ পিঞ্জরে দুইট। কাক ছিল । এক দিন এক । জন মনুষ্য সেই স্থান দিয়া যাইতেই কাঠের গরীদের