পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আন্ধীয়তায় সম্পর্ক ছিল পাকার মার সঙ্গে ঘোষালের, কত যত্নে কতরকম আচার করে, খাবার কৰে। সে খাওয়াত ঘোষালকে। পাকা জানে তাৱ মাকে টেনে আনবার মানে। মার কথায় সে ছেলেমানুষ বনে যায়। এটা ঘোষাল টের পেয়েছিল। গড়মার ভৈরবের বাড়ীতে যখন দেখা হয়। ফাপাৱ ফাপর লাগে, অসহ্য ঠেকে। কিন্তু এটা ভৈরবের বৈঠকখানা নয়। হিসেবী সতর্ক হয়ে গেছে পাকার মন । সেও খানিকটা অভিনয় করে। একটু অভিভূত হবার ভাব দেখায়। তারপর এক সময় নলিনী ঘরে আসে। দরজার কাছে দাড়িয়ে তার সঙ্গে চুপি চুপি কথা হয় ঘোষালের। কথার শেষে চিন্তিত গভীর দেখায় ঘোষালের মুখ। বড় মুশকিলে ফেললে পাকা তুমি। মেয়েটিকে এরা ছেড়ে দিচ্ছে। প্রতিমা নাম নয় মেয়েটির ? প্ৰতিমা সব কথা খুলে বলেছে। কিসের কথা ? এতক্ষণে। তবে কাজের কথা উঠল, আক্রমণ শুরু হল। ভেতরটা শক্ত হয়ে যায় পাকার । ভয় করে । অসাবধানে কিছু বলে ফেলার ভয়, বোকামি করে সন্দেহ জাগাবার ভয়। প্ৰতিমাকে ছেড়ে দিয়েছে, কি দেয় নি-কে জানে । তাকে তফাৎ করা হয়েছে। এক করা হয়েছে। এবার একা তাকে সামলাতে হবে সব । ঘনিষ্ঠ, আপন হয় ঘোষাল । বলে যে পাকাকে সে বঁাচাবে যে করে হোক। সে ক্ষমতা তার আছে। পাকার বাবা ঘোষালের আপনি বড় ভাইয়ের মত।--ছেলেবেলা থেকে পরিচয় । স্নেহ দিয়ে পাকার মা ঘোষালকে চিরদিনের জন্য বেঁধে রেখে দিয়ে গেছে। কিন্তু খুলে বলতে হবে সব কথা পাকাকে । না বলার কোন মানে নেই। প্ৰতিমা সব বলে দিয়েছে। পুলিসও জানে। পাকা সব জানাক ঘোষালকে, নিজের দায়িত্বে সে তাকে ছেড়ে দেবে। নয় তো কি যে বিপদে পড়বে পাকা, সে যদি বুঝত কি বলব বলুন না ? খালি বলছেন বলতে হবে। আমি কিছু করি নি, মিছিমিছি আমায় ধরে এনে Ꭹ ᏄᎧ