পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই সেদিনও, পাকা মরণাপন্ন হবার আগে, বুঝি সম্ভব ছিল ভাবা যে কিছু হবে না পাকার, একদিন ভুলে যাবে সব, মনের তলায় চাপা পড়ে যাবে জীবনের একটা পুরনো অধ্যায়, মাঝে মাঝে শুধু নতুন মামীকে মনে পড়ে হয়তো একটু बJांकू, अक्षरे स्षांनशबा श्ब थांब । আজ ওই ভুলে যাওয়া অত সহজ নেই, ভুলে যাওয়ার ভয়ঙ্কর মানে তার আতঙ্ক এনে দেয়। খেলা আর উন্মাদনা দুদিনের বেশি টানা যাবে না, তারা ফুরিয়ে যাবে, তাদের ছাড়াছাড়ি হবে, এসব সবাই জানে, সবাই বাতিল করে উড়িয়ে দেয়। আজ এই তাৎপৰ্য্যটাই বড় হয়েছে, ভোলা যায় না, তুচ্ছ করা যায় না। পাকাকে নিয়ে সে যদি দেশ ছেড়ে পৃথিবীর অপর প্রান্তেও পালিয়ে যায়, দুদিন পরে তারা ফুরিয়ে যাবেই। তা যাক। কিন্তু তার পাকার তখন হবে কি ! DD BB DBDSBD TODD DB DBDB BDBD DSB BDBD DDB D KS ছেলেবেলা থেকে মানুষের মন ভুলানো শিখে এসে এসে ছেলেখেলা হয়ে গিয়েছিল জীবন, একটি কিশোর তার মন ভুলিয়েছে জেনে জীবনে প্রথম কি বিস্ময় কি রোমাঞ্চ জেগেছিল, কি পুলকের স্বাদ পেয়েছিল। তারপর থেকে শুধু জয় করেছে, বশ করেছে। ওই কিশোরটিকে, জগৎ সংসার সব ভুলে থেকেছে। তার এত রূপ। এত মায়া। তবু পাকা সাড়া দেয় না বলে তার বেঁচে থাকার রুচি ছিল না, কষ্টে পাগল হতে বসেছিল। আজ সেই পাকা বিহবল ব্যাকুল চোখে তাকায়, হাত ধরে আঁচল ধরে টানে, গলা জড়িয়ে ধরে। আর সে তাকে আজ শিশুর মত স্নেহে ভুলিয়ে শান্ত করে ঘুম পাড়ায়। চলে যাবে ? কাল সরকালেই বিদায় হবে চিরদিনের মত, আর যাতে পাকার সঙ্গে দেখা না হয় ? কিন্তু পাকা যদি মুষড়ে যায়, ওই অভিমানী পাগল ছেলে ? স্নেহ মমতা যত্বের অভাবে যদি মরে যায় অন্য কাণ্ড করে ? মশারির পাশে দাড়িয়ে দাড়িয়েই সুধা নিঃশব্দে কঁাদে । আলোটাও নেভায় না। তার রূপ তার শাড়ি ঝলমল করে আলোয় । মোটরে সোফায় পালঙ্কে ঘরকন্নার হাসি গান আনন্দে উজ্জল যে ছিল আর যার জীবনটা মানুষের ८२ || ८ ८ ऊि । RR