পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোলটি ছেলে চমৎকৃত হয়ে যায়, চুপ করে থাকে। পাচু মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে টের পায় নেতৃত্ব দেওয়া কি কঠিন কাজ। তার কথার মৰ্ম্মই কেউ ধরতে পারে নি। পাচু এক মুহূৰ্ত্ত গম্ভীর হয়ে থাকে, দু’বার গলা সাফ করে। মুখের ভাব কঠিন করে। ধীরে ধীরে বলে, খানিক সত্যি শুনি, খানিক গুজব শুনি। এলোমোলো আবোলতাবোল কত রকম কত কথা । আসল ব্যাপার জানি কি ? তলে তলে কত কিছু ঘটতে পারে, গণেশ সাতরা বানিয়ে রটাতে পারে দশ কথা। তবে কি-না, দুকলি যদি বলে তার মন নেই, সে বঁাচতে চায়, সে ভিন্ন কথা । তাই ওকে শুধানে । হারাণের ছেলে দানু বলে, তা বটে, তুই ঠিক বলেছিস পাচু! ও ছড়ি যদি তলে তলে বজাতি করে থাকে, তবে মোরা এর মধ্যে নেই। ওকে শুধোলে হবে কি ? পাচু বলে, উহু, তা নয়। বজ্জাতি করেছে না করেছে সে মোরা দেখতে যাব না। বড়লোকের ছেলে যদি ভুলিয়ে ভালিয়ে নষ্ট করে থাকে মেয়েটাকে, সে ওরা বুঝবে। জবরদস্তি অত্যাচার মোরা ঘটতে দেব না-বাস। না কি বলিস ? সকলের উৎসাহ অনেক কমে গেছে টের পাওয়া যায়! পাচু নিজের ভুল বুঝতে পেরে বলে, ওটা বললাম কথার কথা, মেয়েটা খারাপ হয়েছে এমন তো নয় ! মোর মন বলে, ও খাটি আছে। নয়তো ওই শালার পো হাঙ্গামা করবে: কেন ? তবু একবার শুধিয়ে রাখা, পরে না বলতে পারে মোদের ব্যাপারে c७ांभद्रों qन नेि ! এ যুক্তি সকলের মনে লাগে। তাই বটে, গণেশ বা দুকলি তো তাদের কাছে ধন্ন দিয়ে বলে নি, মোদের বঁাচাও ! পাচুকেই দুকুলির মনের ভাব বুঝতে যেতে হয়। মেয়েদের মন বোঝার বিদ্যাও সে যেন শহরের স্কুলে আয়ত্ত করেছে। তবে চাষী মেয়েরা মোটে রহস্যময়ী নয়, ওতে তাদের লাভ নেই, পোষায়ও না। তখন বেলা হয়েছে, মেঘহীন আকাশে ঠাটাপোড়া রোদ। দুকলির মা শাক বাছছিল, উনোনের RM2. Ve