পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাড়ী। প্রথমেই গ্রেপ্তার হয়েছে। গণেশ আর ধনদাস। জ্ঞানদাস আর পাচুকে •lieभों यांभ नेि। গণেশের বাড়ীতে সাতজন ডাকাত গ্রেপ্তার হয়েছে। তারা অবশ্য ছেলেমানুষ। এক দুপুরে একুশটি ঘর লণ্ডভণ্ড করে ছেলেবুড়ো মেয়েপুরুষকে লাঠির গুতো মেরে ডাকাত খোজা হয়েছে। হাতকড়া পড়েছে একুশজনের হাতে। খাজনা বন্ধের বদনামি আটুলিগার চাষীপাড়া! এত বছর পরেও পোড়া ভিটের কলঙ্কচিহ্ন আঁকা আটুলিগা ! নলিনী তদন্তের ভার নিয়ে এসেছে। পুলিস এসেছে শুনেই পাচুকে একরকম বংগলদাবা করে জ্ঞানদাস খিড়কি পথে ডোবার ধারের বঁাশবন দিয়ে সরে পড়েছিল। কর্কশ থাবা, মোটা মোটা আঙল, তাই দিয়ে বজমুষ্টিতে পাচুর হাত ধরে টেনে নিয়ে গিয়েছিল, পাচুর কোনো কথা কানে তোলে নি । শেষে মুক্ত হাতে একটা পলাশ গাছের গুড়ি আঁকড়ে ধরে পাঁচু প্রতিরোধ করায় সে থেমেছিল, মুঠি শিথিল করেছিল। বুঝিস নে কেন বোকা হাদা, হট্টগোলের মধ্যে পেলে তোকে যে মেরেই সাবাড় করবে। তুই তো আসল আসামী। কিসের আসামী ? পাচু তখনও ব্যাপার বোঝে নি। একুশ সালের গা জালানোর অভিজ্ঞতা জ্ঞানদাসের, তারপর থেকে এতগুলি বছর অভিজ্ঞতার পর অভিজ্ঞতা। সে চট্ট করে যা আন্দাজ করে ফেলেছে পাচুর তা বোঝার ক্ষমতা নেই। হেমবাবুকে মেরেছিলি। এটা তার উসুল শুরু বুঝিস নে তুই ? এজন্য বলছিলাম অত বাহাদুরি করিস নে পাচু, করিস নে। খুন্দর প্রাণী তুই, বল বুঝে না কাজ করলে খতম হয়ে যাবি। সাধ করে খতম হতে তোর ব্যগ্ৰতা কেন রে হারামজাদা, কিসের শখ অন্ত ? তৰু পাচু মুখ গোমড়া করে থাকে, চারিদিকের জঙ্গলের মত। R