পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চলতে চলতে পথে এক অদ্ভুত গুজব শোনে পাকা। মাঝ রাত্রে থিয়েটার দেখে বাড়ী ফেরার পথে নলিনী দারোগার স্ত্রীর গায়ের গয়না ডাকাতি হয়ে গেছে। ডাকাতেরা নাকি ভদ্রঘরের ছেলে, মুখোশ পরা ছিল। নলিনী ঘারোগার স্ত্রীকে তারা নাকি বলেছিল, মা, আপনার বিয়ের গয়না রেখে অন্যগুলি খুলে দিন-আমরা কিন্তু জানি কোনটি কোনটি আপনার বিয়ের গয়না। তারা নাকি আরও বলে দিয়েছে যে আজ মহাপাপের গয়নাগুলি গেল, স্বামী যদি তার সাবধান না হয় একদিন তাকেও হারাতে হবে। VO) আখড়ায় পৌছবার তাড়ায় খবরটা ভাল করে শুনবারও সময় সে পেল না । ছেলেরা সবাই ইতিমধ্যে এসে গিয়েছে, খেলা ও ব্যায়াম শুরু হয়েছে। কালীনাথ হাজির ছিল, পাকা পৌছতেই কাছে ডাকিল। পাকা, তোমার নাম কাটা গেছে। তুমি আর এখানে এসো না। নাম কাটা গেছে ? দু'চোখ জলে ওঠে। পাকার, কেন ? তোমার মত ছেলেকে আমরা চাই না পাকা । কি করেছি। আমি ? বাদ ছেলেদের এখানে স্থান হয় না ভাই । অন্য যে কোন মানুষকে যা-তা বলা যায় রাগের মাথায়, কালীনাথকে গাল দেওয়া যায় না। পাকা অনুযোগের সুরে বলে, এ আপনার অন্যায় কালীদা। DD BBS DBD DBDD BB BDS DD DBBBB D DD DD DBBD S তুমি নিজেই বেশ বুঝতে পারছি। কালীনাথ ভাবে, এখনো সতেজে কথা বলছে ছেলেটা। এই বয়সে। চরম অধ্যাপাতে গেছে অথচ সোজাসুজি মুখের দিকে চেয়ে কথা বলছে সহজ ও স্পষ্ট । পোকায় না ধরলে কী যে তৈরি করা যেত একে ! মনের মত একটা আগুনের গোলা ! (V)