পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যাকে তাকে বাড়ীতে আনার তার যে পূর্ণ অধিকার আছে এটা পুরোপুরি স্বীকার করে নিয়ে। অমিতাভ একবার গ্রেপ্তার হল ঘটনার পরদিন দুপুরে। রাত দুপুরে সে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল, এগিয়ে গিয়েছিল জানবাজারের রাস্তা ধরে, সে পথ সোজা গিয়েছে ঘটনাস্থলের দিকে। ডাক্তার এন. রায় চৌধুরী স্বীকার করল যে, মাঝ রাতে অমিতাভ এসেছিল মার কলিকের ব্যথার জন্য তাকে ডাকতে, সে যায় নি, তবে ওষুধ দিয়েছিল। আর ব্যবস্থা। দু’দিন পরে ছাড়া পেলে অমিতাভ, আবার LsD DD DD B BB DBDBDD S DDB DBB BeBBS DDD BBB আবার ছাড়া পেল। কিন্তু বঞ্চিত হল ম্যাজিষ্ট্রেটের লিখিত হুকুম ছাড়া শহর ছেড়ে যাবার বা সন্ধ্যার পর বাড়ীর বাইরে আসার অধিকার থেকে । নারায়ণের বাড়ী সার্চ করা হল দু’বার, চার-পাঁচবার থানায় গিয়ে তাকে প্ৰমাণ দিতে ‘হল যে সে বাড়ী ছেড়ে বেরোয় নি ঘটনার রাত্রে, পুলিসের রাত দশটার হাকেও সাড়া দিয়েছিল, রাত তিনটের হাকেও সাড়া দিয়েছিল। সিদিকের দর্জির দোকানেও একদিন হানা দিল পুলিস, এগার জন সন্দেহজনক লোক এত দৰ্জি থাকতে শুধু সিদিককে জামা বানাবার অর্ডার দেয় কেন ? দোকান ও পিছনে বসবাসের ঘর দু’খানা চার ঘণ্টা ধরে তল্লাস করা হল। রমেশ আর কান্তি প্ৰায়ই যায় দীপ্তির বাড়ী, দীপ্তি প্ৰায়ই যায় কালীনাথের কাছে, থার্ড ক্লাসের অতটুকু মেয়ে স্কুলের মেয়েদের সভায় জোরালো বক্তৃতা দেয় স্বাধীনতার জন্য প্ৰস্তুত হবার আহবান জানিয়ে-হেড মিষ্ট্রেস মিসেস তরফদারের কড়া চিঠির জবাবে অবশ্য দীপ্তির বাবা রজনী সিকদার জানিয়েছে, মেয়ে তার ভবিষ্যতে কখনো ওরকম পাগলামি করবে নাতাকেও জেরা করা হল। শহর থেকে বাইরে যাবার পথের মোড়ে মোতায়েন পুলিস তল্লাস করতে লাগল পথিকের মোটঘাট, গাড়ির মালপত্র। স্টেশনে তছনছ করা হতে লাগল যাত্রীর বাক্স পেটরা শ্যামলীর গয়নার বেশ একটু দিশেহারা ভাব পুলিসের, যাকে তাকে সন্দেহ করছে, যেখানে সেখানে ঢু মারছে। V8