পাতা:জেবুন্নিসা বেগম - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৪০
জেবুন্নিসা বেগম

ছিলেন। জানা যায়—পূর্ব্বে উহা নূরুদ্দীন জাহাঙ্গীর বাদশাহের নির্ম্মিত একটী সেতুর দ্বারা দিল্লীর সহিত সংযুক্ত ছিল। মুগল শাসনকালে রাজবন্দিগণকে আবদ্ধ রাখিবার জন্য সচরাচর ঐ দুর্গ ব্যবহৃত হইত। তাহাতেই ঔরঙ্গজেব তাঁহার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা শাহজাদা দারা শিকোকে হত্যা করান।

 জেবুন্নিসা বেগম সলীমগড়ে নজরবন্দী থাকার সময় রুহ্‌উল্লা খাঁর মাতা হমীদা বানু বেগমের মৃত্যু হইলে তিনি তথা হইতেই মৃত বেগমের “তাজীয়ত” অর্থাৎ মৃত ব্যক্তির জন্য শোক প্রকাশ ক্রিয়াতে যোগ দান করিয়াছিলেন। সেই বৎসরেই ঔরঙ্গজেব বাদশাহের পুত্ত্র শাহ্‌জাদা কাম্‌বখসের বিবাহ হয়। জেবুন্নিসা বেগমের বিশেষ অনুরোধে সেই বিবাহ-উৎসব তাঁহার সেখানেই সম্পাদিত হইয়াছিল।

 সলীমগড় দুর্গে অবরুদ্ধ থাকিবার কালে