পাতা:জেলের খাতা - বিপিনচন্দ্র পাল.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
১০৪
চতুর্থ চিন্তা


সে আশীর্ব্বাদ, সে শক্তি ও সে সুযোগ যেন সর্ব্বদা পাই। ভক্তিভরে, “তৃণাদপি সুনীচেন তরোরিব সহিষ্ণুনা, অমানীনাং মানদেন কীর্ত্তনীয়া সদা হরিঃ” এই নিয়ম ধারণ করিয়া, দয়াল, যাতে তবদত্ত মহানাম সতত কীর্ত্তন করিতে পারি, দিনের দিন যাতে নামের শক্তি ও তত্ত্ব ফুটিয়া উঠে, এই আশীর্ব্বাদ কর। আর যেন নাম ভুলি না। ভুলাতে অনেক আছে, কিন্তু তুমি কাণ্ডারী হয়ে থে’ক, তাহা হইলে আর ভুলিবার ভয় থাকিবে না।

 ঠাকুর! এই ক’মাস, তোমার প্রসাদে, নামের সঙ্গে সঙ্গে স্বাধ্যায়ও বেশ চলিয়ছে। এই স্বাধ্যায় যেন ভঙ্গ না হয়। ঠাকুর, এটীও সেখ। এসকলে আমায় এই বন্ধনে জড়াইয়া রাখিয়াছে, এ সকল দিয়া আমার এ বন্ধনকে তুমি অশেষ মঙ্গলের হেতু করিয়াছ; এসকল যাতে আর অবহেলা না করি, এখন সে টুকু করিও। দয়াল, তোমার চরণে এই প্রার্থনা করি।

 আর, ঠাকুর,-আর একটভয় প্রাণে জাগিতেছে। যে তত্ত্বজ্ঞান। তুমি দেখাইয়াছ, তাহা গোপন রাথিব, না প্রকাশ করিব। ঠাকুর! আমি কিছুই বুঝিতেছি না। একি প্রচার করিব, না নিজে নিজে, গোপনে গোপনে সাধন করিতে ও সম্ভোগ করিতে চেষ্টা করিব? আমি ভাল মন্দ জানি না॥ প্রকৃতি আমার সর্বদাই বহিমুর্থ; সর্বদাই আত্ম প্রকাশে আত্মপ্রসাদ প্রাপ্ত হয়।, এ যে তত্ত্বের আভাস দিলে, তাহা অতি নিগুঢ়। এ বল। কঠিন, বোঝান কঠিন। অথচ, আমি এ মধুর বস্তু, নিজে ধরিয়াই বা রাখি কেমন করিয়া? তাই তোমার চরণে সম্পূর্ণরূপে আত্মসমর্পণ করিতে চাই। আমায় একেবারে অধিকার কর। আমার ধর্ম্মাধর্ম্ম সকল গ্রহণ কর॥ যাতে সব ধম্মান পরিত্যজ্য—তোমার চরণশরণাগত হইতে পারি, তাই কর। তা নইলে, আমার আর. গতি নাই। গতি কর, দয়াল, গতি কর। তোমারই জয় গুরো! তোমারই জয়, তোমারই জয়। তুমি ধঠ, তোমার প্রেম, ধন্ত, তোমার করুন। ধ3, তোমার চরণাশ্রয় ধ্য!

সমাপ্ত