পাতা:জ্ঞাতি শত্রু - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪
দারােগার দপ্তর, ২০২ সংখ্যা।

 লোকটী আশ্চর্য্যান্বিত হইলেন। তিনি আমার মুখের দিকে চাহিয়া ব্যঙ্গস্বরে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তাঁহাদের সম্পত্তি কিরূপ? সম্পত্তি ত হরিসাধন বাবুরই ছিল।”

 আ। তাহাতে কি শক্তিসাধন বাবুর অংশ ছিল না?

 লো। আজ্ঞে না—তিনি ভ্রাতার নিকট আপনার অংশের মূল্য লইয়া তাঁহাকেই সেই অংশ বিক্রয় করিয়াছিলেন।

 আ। তবে তিনি হরিসাধন বাবুর বাড়ীতে যাতায়াত করিতেন এবং তাঁহারই অন্ন ধ্বংস করিতেন কেন?

 লো। হরিসাধন বাবু দয়া করিয়া তাঁহার ভরণপোষণের সমস্ত ব্যয় নির্ব্বাহ করিতেন। এমন কি, কিছু করিয়া মাসহারাও দিতেন। হরিবাবুর মৃত্যুতে শক্তিবাবুর বিশেষ অপকার হইয়াছে সন্দেহ নাই।

 আ। তাঁহার ভ্রাতাই ত হরিসাধনের বিষয়ের উত্তরাধিকারী?

 লোকটী ঈষৎ হাসিয়া বলিলেন, “আজ্ঞে সে সকল কথা আমরা ভাল জানি না। হরিবাবুর কোন সন্তান জীবিত নাই।”

 আ। রসময়বাবু কে?

 লো। হরিবাবুর জ্ঞাতি ভাই।

 আ। তাঁহাদের নিবাস কোথায়?

 লো। হাটখোলায়।

 আমি আর কোন প্রশ্ন না করিয়া পুনরায় চিৎপুর রোডের মোড়ে আসিয়া ট্রামের জন্য অপেক্ষা করিতে লাগিলাম এবং কিছুক্ষণ পরেই হাঁসপাতালে গিয়া উপস্থিত হইলাম।