আর্শেনিক দেখা যাইতেছে। আমার বোধ হয় কোন খাদ্যদ্রব্যের সহিত আর্শেনিক মিশ্রিত ছিল। ইনি সেই খাদ্য ভক্ষণ করিয়াছেন।”
বড়সাহেব কোন উত্তর না করিয়া স্বয়ং পরীক্ষা করিলেন। পরে আমার দিকে চাহিয়া বলিলেন, “আপনার সন্দেহ সত্য। লোকটা আর্শেনিক খাইয়া মারা গিয়াছে। যদি আপনি সময়ে দাহকার্য্যে বাধা না দিতেন, তাহা হইলে এ অদ্ভুতরহস্য আর কখনও উদ্ঘাটিত হইত না। আমি শীঘ্রই রিপোর্ট পাঠাইয়া দিতেছি।”
আমি আন্তরিক সন্তুষ্ট হইলাম। ভাবিলাম, ইহার মধ্যে কোন গোপনীয় রহস্য আছে। যখন হরিসাধন বাবু বিষপ্রয়োগে মারা পড়িয়াছেন, তখন কোন লোক যে তাঁহারই কোন আহার্য্য পদার্থের সহিত পূর্ব্বে বিষ মিশ্রিত করিয়া রাখিয়াছিলেন, সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। হরিসাধন বাবুর এমন কোন দুঃখ ছিল না, যাহাতে সেই আনন্দের দিনে তিনি বিষপানে আত্মহত্যা করিবেন।
এই প্রকার চিন্তা করিয়া আমি আর কোন কথা জিজ্ঞাসা না করিয়া হাঁসপাতালের বড়সাহেবকে শত শত ধন্যবাদ প্রদান করতঃ তাঁহার নিকট বিদায় লইলাম।
পথে আসিয়া একবার ভাবিলাম, থানায় ফিরিয়া যাই। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে কাশীপুরে শক্তিসাধনের বাসায় যাইতে অভিলাষ জন্মিল। কিন্তু পুলিসের বেশে যাইলে পাছে নিষ্ফল হইতে হয়, এই ভয়ে আমি থানায় ফিরিয়া গেলাম এবং সেখানে গিয়া ছদ্মবেশ পরিধান করতঃ একখানি ভাড়াটিয়া গাড়ী করিয়া কাশীপুরে গমন করিলাম।