বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জ্ঞাতি শত্রু - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮
দারোগার দপ্তর, ২০২ সংখ্যা।

 র। তিনি কি আমাকে কোন খাদ্যব্যের সহিত বিষ মিশ্রিত করিতে দেখিয়াছিলেন?

 আ। আজ্ঞে না, স্বচক্ষে দেখেন নাই। তবে আপনাকে বারম্বার হরিসাধনবাবুর পাতে হাত দিতে দেখিয়াই ঐ প্রকার সন্দেহ করিয়াছিলেন।

 আর সেই সন্দেহ করিয়া তিনি মৃতদেহ সৎকারে বাধা দিয়াছিলেন?

 রসময় বাবুর কথা শুনিয়া আমার চমক ভাঙ্গিল। আমি তাঁহার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারিলাম না। কিন্তু তিনি পুনর্ব্বার আমার দিকে চাহিয়া বলিলেন, “যখন শক্তিসাধন থানায় সংবাদ দিতে সাহস করিয়াছিল, তখন কি কেবল সন্দেহের উপর নির্ভর করিয়া সেই গুরুতর কার্য্য করিয়াছিল? শক্তিসাধন সামান্য বালক নহে, তাহার বয়স প্রায় চৌত্রিশ বৎসর। সে কি জানিত না যে, তাহার কথা প্রমাণ করিতে না পারিলে তাহারই সর্ব্বনাশ হইবে। নিশ্চয়ই জানিত। সুতরাং সামান্য সন্দেহ করিয়া সে এই মহৎ কার্য্যে হস্তক্ষেপ করে নাই।”

 রসময়বাবুর কথাগুলি আমার মনে লাগিল। আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “আপনি কি বলেন তিনি স্বচক্ষে কোন ব্যাপার দেখিয়াই থানায় সংবাদ দিতে সাহস করিয়াছিলেন?”

 সে কথা আপনিই বুঝিয়া দেখুন। যদি সরকারী ডাক্তার মৃতদেহ পরীক্ষা করিয়া বলিতেন, হরিসাধন কলেরায় মারা গিয়াছেন, তাহা হইলে কি আপনারা শক্তিকে সহজে ছাড়িয়া দিতেন? তাহার মিথ্যা কথার জন্য কি কোন প্রকার শাস্তি দিতেন না?

 আ। নিশ্চয়ই তিনি শাস্তি পাইতেন। কিন্তু এখন ত তাঁহার