পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । বোধ হইতেছে মিথ্যা—ইহা সদাই বর্তমান—ইহাতে একবার বোধ হইতেছে আমরা জাগরিত, আবার তখনই বোধ হইতেছে নিদ্রিত। ইহাই মায়া এবং ইহা প্রকৃত ঘটনা। আমরা এই মায়াতে জন্মিয়াছি, আমরা ইহাতেই জীবিত রহিয়াছি, আমরা ইহাতেই চিন্তা করিতেছি, ইহাতেই স্বপ্ন দেখিতেছি। আমরা এই মায়াতেই দার্শনিক, আমরা ইহাতেই সাধু শুধু তাহাই নহে, আমরা এই মায়াতেই কখন দানব, কখন বা দেবতা হইতেছি। চিস্তারথে আরোহণ করিয়া যতদূর যাও, তোমার ধারণাকে উচ্চ হইতে উচ্চতর কর, উহাকে অনন্ত অথবা যে কোন নাম দিতে ইচ্ছা হয়, দাও, ঐ ধারণাও এই মায়ারই ভিতরে। ইহার বিপরীত হইতেই পারে না ; আর মামুষের সমস্ত জ্ঞান—কেবল এই মায়ার সাধারণ ভাব আবিষ্কার করা, উহার প্রকৃত স্বরূপ জানা। এই মায় নামরূপেরই কাৰ্য্য। যে কোন বস্তুরই আকৃতি আছে, যাহা কিছু তোমার মনের মধ্যে কোন প্রকার ভাবের উদ্দীপনা করিয়া দেয়, তাহাই মায়ার অন্তর্গত। জৰ্ম্মান দার্শনিকগণও বলেন,—সমুদয়ই দেশকালনিমিত্তের অধীন, আর উহাই মায়া। এক্ষণে পুনরায় সেই ঈশ্বর-ধারণা-সম্বন্ধে কি হইল, তাহার বিচার করা যাউক। পূৰ্ব্বে সংসারের ষে অবস্থা চিত্রিত হইয়াছে, তাহাতে অনায়াসেই দেখিতে পাওয়া যাইতেছে, পূৰ্ব্বোক্ত ঈশ্বরধারণা—একজন ঈশ্বর আমাদিগকে অনন্তকাল ধরিয়া ভালবাসিতেছেন-ভালবাসা অবশু আমাদের ধারণামত—একজন অনন্ত সৰ্ব্বশক্তিমান ও নিঃস্বার্থ পুরুষ এই জগৎ শাসন করিতেছেন, তাহা হইতেই পারে না। এই সগুণ ঈশ্বরধারণার বিরুদ্ধে Σ ?V3