পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্ম ও জগৎ । বলিতেছি—খাও দাও মজা উড়াও ; ঈশ্বর আত্মা বা স্বৰ্গ কিছুই নাই ; ধৰ্ম্ম কতকগুলি ধূৰ্ত্ত দুষ্টপুরোহিতের কল্পনা মাত্ৰ—‘যাবজীবেৎ সুখং জীবেং ঋণং কৃত্ব স্থতং পিবেৎ। এইরূপ নাস্তিকতা বুদ্ধদেবের আবির্ভাবের পূৰ্ব্বে এত বিস্তৃত হইয়াছিল যে, উহার এক নাম ছিল—“লোকায়ত দর্শন’। এইরূপ অবস্থায় বুদ্ধদেব আসিয়া সাধারণের মধ্যে বেদান্ত প্রচার করিয়া ভারতবর্ষকে রক্ষা করিলেন। বুদ্ধদেবের তিরোভাবের সহস্র বর্ষ পরে আবার ঠিক এইরূপ ব্যাপার ঘটিল। আচণ্ডালে বৌদ্ধ হইতে লাগিল । নানাবিধ বিভিন্ন জাতি বৌদ্ধ হইতে লাগিল । অনেকে অতি নীচ জাতি হইলেও বৌদ্ধধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়া বেশ সদাচারপরায়ণ হইল। ইহাদের কিন্তু নানাপ্রকার কুসংস্কার ছিল নানা প্রকার ছিটা, ফোট, মন্ত্র তন্ত্র ভূত দেবতায় বিশ্বাস ছিল। বৌদ্ধধৰ্ম্মপ্রভাবে ঐগুলি দিনকতক চাপ থাকিল বটে, কিন্তু সেগুলি আবার প্রকাশ হইয়া পড়িল । অবশেষে ভারতে বৌদ্ধধৰ্ম্ম নানা প্রকার বিষয়ের খিচুড়ি হইয়া দাড়াইল। তখন আবার নাস্তিকতার মেঘে ভারতগগন আচ্ছন্ন হইল—সম্ভ্রান্ত লোকে যথেচ্ছাচারী ও সাধারণ লোকে কুসংস্কারাচ্ছন্ন হইল। এমন সময়ে শঙ্করাচার্য উঠিয়৷ বেদান্তের পুনরুদ্দীপন করিলেন। তিনি উহাকে একটা যুক্তিসঙ্গত বিচারপূর্ণ দর্শনরূপে প্রচার করিলেন। উপনিষদে বিচারভাগ বড় অফুট। বুদ্ধদেব উপনিষদের নীতিভাগের দিকে খুব বেশিক দিয়াছিলেন, শঙ্করাচাৰ্য্য উহার জ্ঞানভাগের দিকে বেশী ঝোক দিলেন। তার উপনিষদের সিদ্ধান্তগুলি যুক্তিবিচারের দ্বারা প্রমাণিত ও প্রণালীবদ্ধরূপে লোকসমক্ষে স্থাপিত হইয়াছে। ჯ\ყ® -