পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ | কেমন মুনার অট্টালিকায় বাস করিতেছি, আমার শীতের ভয় নাই। অতএব আমার সম্মুখে এ ভয়াবহ চিত্ৰ আনিও না। কিন্তু অপরদিকে শীতে ও অনাহারে কত লোক মরিতেছে। যাও, তাহাদিগকে শিক্ষা দাও ষে, সমস্তই মঙ্গল।” কিন্তু ঐ যে একজন এ জীবনে ভীষণ ক্লেশ পাইয়াছে, সে ত মুখের, সৌন্দর্ঘ্যের, মঙ্গলের কথা শুনিবে না। সে বলড়েছে, “সকলকেইভ দেখাও, আমি যখন কাদিতেছি, অপরে কেন খাসিবে ? আমি সকলকেই আমার সহিত ক্রনন করাইব; কারণ,আমি দুঃখ-গ্ৰপীড়িত, সকলেই দুঃখ-প্ৰপীড়িত হউক-ইহাতেই আমার শান্তি ”আমরা এইরূপ সুখাশাবাদ হইতে নিরাশাবাদে যাইতেছি। অতঃপর মৃত্যুরূপ ভয়াবহ ব্যাপার—সমগ্র সংসারই মৃত্যুমুখে যাইতেছে ; সকলেই মরিতেছে। আমাদিগের উন্নতি, বৃথা আড়ম্বরপূর্ণ কাৰ্যকলাপ, সমাজসংস্কার, বিলাসিত, ঐশ্বৰ্য্য, জ্ঞান—মৃত্যুই সকলের এক গতি। ইহাই সৰ্ব্বস্ব, ইহাই সুনিশ্চিত। নগরাদি হইতেছে ও যাইতেছে, সাম্রাজ্যের উত্থান ও পতন হইতেছে—গ্রহাদি খণ্ড খণ্ড হইয়া খুলিবং চূর্ণ হইয় বিভিন্নগ্রহস্থিত বায়ুপ্রবাহে ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত হইতেছে। এইরূপ অনাদি কালই চলিয়াছে। ইহার লক্ষ্য কি ? মৃত্যুই সকলের লক্ষ্য। . মৃত্যু জীবনের লক্ষ্য, সৌন্দর্ঘ্যের লক্ষ্য, ঐশ্বর্ঘ্যের লক্ষ্য, শক্তির লক্ষ্যত্রনকি শ্রেও লক্ষ সাধু ও পাপী নিজেছ লিও ভিক্ষুক মরিতেছে,—সকলেই মৃত্যুকে প্রাপ্ত হইতেছে। তথাপি জীবনের প্রতি এই বিষম মমতা বিদ্যমান রহিয়াছে। কেন আমরা এ জীবনের মমতা করি ? কেন ইহা পরিত্যাগ করিতে পারি ন? ইহা আমরা জানি না। ইহাই মায়া। ; : " . . $