পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । হইতে কাড়িয়া লইলেন, তখন যেন মুহূর্তের জন্য এই সংসারের কোলাহল, সব গোলমাল থামিয়া গেল, সব যেন নিস্তব্ধ হইল, আর আত্মার গভীরতম প্রদেশ হইতে সেই প্রাচীন প্রশ্ন জিজ্ঞাসিত হইতে লাগিল,—এই জীবনের অবসানে কি থাকে ? দেহান্তে আত্মার কি গতি হয় ? ঠেকিয়াই মানুষ সমুদয় শিক্ষা করে। না ঠেকিলে—সুখ দুঃখ সব বিষয় উপলব্ধি না করিলে, আমরা কোন বিষয় শিক্ষা করিতে পারি না। আমাদের বিচার, আমাদের জ্ঞান এই সকল বিভিন্নপ্রকার উপলব্ধির সামঞ্জস্তের উপর—সাধারণ ভাবের উপর-নির্ভর করে। আমাদের চতুর্দিকে নয়ন বিস্কারিত করিয়া আমরা কি দেখিতে পাই ? ক্রমাগত পরিবর্তন ! বীজ হইতে বৃক্ষ হয়, আবার উহা ঘুরিয়া বীজৰূপে পরিণত হয়। কোন জীব উৎপন্ন হইল—কিছুদিন রহিল—আবার মরিয়া গেল—এইরূপে যেন একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ হইল। মানুষের সম্বন্ধেও তদ্রুপ। এমন কি, পৰ্ব্বতসমূহ পর্যন্ত ধীরে অথচ নিশ্চিতরূপে গুড়াইয় ঘাইতেছে, নদীসকল ধীরে অথচ নিশ্চিত শুকাইয়া যাইতেছে। সমুদ্র হইতে বৃষ্টি আসিতেছে, আবার উহা সমুদ্রে যাইতেছে। সৰ্ব্বত্রই একট একটা বৃত্ত-জন্ম, বৃদ্ধি ও নাশ যেন গণিতের স্তায় সঠিকভাবে একটার পর আর একটী আসিতেছে। ইহাই আমাদের প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা। তথাপি ক্ষুদ্রতম পরমাণু হইতে আরম্ভ করিয়া উচ্চতম সিন্ধপুরুষ পৰ্য্যন্ত লক্ষ লক্ষ প্রকারে বিভিন্ন নামৰূপযুক্ত বস্তুরাশির অভ্যন্তরে ও অন্তরালে আমরা এক অখণ্ডভাব দেখিতে পাই। প্রতিদিনই আমরা দেখিতে পাই, ষে দুর্ভেদ্য প্রাচীর এক পদার্থ হইতে আর এক পদার্থকে পৃথক্ করিতেছে বলিয়া লোকে RᎼ8