পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বহুত্বে একত্ব । ভোগমুখ অতি অল্প, সুতরাং তাহার দুঃখও অল্প। তাহার দুঃখ কেবল ইক্রিয়বিষয়েই আবদ্ধ। যদি সে প্রচুর আহার না পায়, তবে সে অমুখী হয় । তাহাকে প্রচুর খান্ত দাও, তাহাকে স্বাধীনভাবে ভ্রমণ ও শিকার করিতে দাও, সে সম্পূর্ণরূপ মুখী হইবে । তাহার মুখ দুঃখ সবই কেবল ইন্দ্রিয়ে আবদ্ধ। মনে কর, সেই ব্যক্তির জ্ঞানের উন্নতি হইল। তাহার মুখ বাড়িতেছে, তাহার বুদ্ধি খুলিতেছে, সে পূৰ্ব্বে ইন্ত্রিয়ে যে মুখ পাইত, এক্ষণে বৃদ্ধিবৃত্তির চালনা করিয়া সেই মুখ পাইতেছে। সে এখন একটা মুন্দর কবিতা পাঠ করিয়া অপূৰ্ব্ব মুখ আস্বাদন করে। গণিতের যে কোন সমস্তার মীমাংসায় তাহার সারা জীবন কাটিয়া যায়, তাহাতেই সে পরম মুখ ভোগ করে। কিন্তু ইহার সঙ্গে সঙ্গে অসভ্য অবস্থায় যে তীব্র যন্ত্রণ সে অনুভব করে নাই, তাহার স্বায়ুগণ সেই তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করিতে ক্রমশঃ অভ্যস্ত হইয়াছে, অতএব সে তীব্র মানসিক কষ্ট ভোগ করে। একটা খুব সোজা উদাহরণ লও। তিব্বত দেশে বিবাহ নাই, মুতরাং সেখানে প্রেমের ঈর্ষাও নাই, কিন্তু তথাপি আমরা জানি, বিৰাহ অপেক্ষকৃত উন্নত সমাজের পরিচায়ক। তিব্বতীয়েরা নিষ্কলঙ্ক স্বামী ও নিষ্কলঙ্ক স্ত্রীর বিশুদ্ধ দাম্পত্য প্রেমের মুখ জানে না। কিন্তু তাহার একজন ভ্ৰষ্ট বা ভ্ৰষ্ট হইলে অপরের মনে যে কি ভয়ানক ইnি—কি ভয়ানক অন্তৰ্দ্দাহ উপস্থিত হয়, সঙ্গে সঙ্গে তাহীও জানেন। একপক্ষে এই উচ্চ ধারণায় মুখের বৃদ্ধি হইল বটে, কিন্তু অপর দিকে ইহাতে খেরও বৃদ্ধি হইল। তোমাদের নিজেদের দেশের কথাই ধর-পৃথিবীতে ইহার ఫిలిసి