পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জমৰযোগ । এবং জগৎ দুঃখময়রূপে প্রতিভাত না হইয়া স্বৰ্গরূপে পরিণত হইবে । , ‘স্বৰ্গরাজ্য তোমার ভিত্তরে ; বেদান্ত বলেন, উহা পূৰ্ব্ব হইতেই তোমার অভ্যস্তরে অবস্থিত। আর সকল ধৰ্ম্মেও এই কথা বলিয়া থাকে, সকল মহাপুরুষই ইহা বলিয়া থাকেন। যাহার দেখিবার চক্ষু আছে, সে দেখুক ; যাহাঙ্ক শুনিবার কর্ণ আছে, সে শুমুক।” উহ! পুৰ্ব্ব হইতেই তোমার অভ্যন্তরে বর্তমান আর বেদান্ত শুধু যে ইহার উল্লেখ মাত্র করেন, তাহা নহে, ইহা যুক্তিবলে প্রমাণ করিতেও প্রস্তুত। অজ্ঞানকশতঃ আমরা মনে করিয়াছিলাম, আমরা উহা হারাইয়াছি, আর সমুদয় জগতে উহ! পাইবার জন্ত কেবল কাদিয়া কষ্ট ভুগির বেড়াইয়াছিলাম, কিন্তু উহা সৰ্ব্বদাই আমাদের নিজেদের অন্তরের অন্তস্তলে বর্তমান ছিল। এই তত্ত্বদৃষ্টির সহায়তা লইয়া জগতে জীবনযাপন করিতে হইবে। যদি সংসার ত্যাগ কর, এই উপদেশ সত্য হয়, আর যদি উছ উহার প্রাচীন স্থল অর্থে গ্রহণ করা যায়, তবে দাড়ায় এই – আমাদের কোন কায করিবার আবগুকতা নাই, অলস হইয়া মাটির ঢিপির মত বসিয়া থাকিলেই হইল, কিছু চিন্তা করিবার বা কোন কাষ করিবার কিছুমাত্র আবশ্বকতা নাই, অদৃষ্টবাদী হইয়া ঘটনাচক্রে তাড়িত হইয়া, প্রাকৃতিক নিয়মের দ্বারা পরিচালিত হইয় ইতস্ততঃ বিচরণ করিলেইহইল। ইহাই ফল দাড়াইবে। কিন্তু পূৰ্ব্বোক্ত উপদেশের অর্থ বাস্তবিক তাহা নহে । আমাদিগকে কাৰ্য্য অবঙ্গ করিতে হইবে। সাধারণ মানবগণ, যাহারা বৃথা বাসনায় ইতস্ততঃ পরিভ্রাম্যমান, তাহার কাৰ্য্যের কি জানে ? যে ব্যক্তি নিজের ভাব శి\s\e : -