পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপরোক্ষানুভূতি। পার। আমরা মনুষ্যদৃষ্টিতে এই জগৎ দেখিতেছি আর আমাদের ঈশ্বর এই জগতের মানবীয় ব্যাখ্যামাত্র। - - মনে কর, একটা গরু যেন দার্শনিক ও ধৰ্ম্মল্প হইল—সে জগৎকে তাহার গরুর দৃষ্টিতে দেখিবে, সে এই সমস্তার মীমাংস করিতে গিয়া গরুর ভাবে ইহার মীমাংসা করিবে, সে যে আমাদের ঈশ্বরকেই দেখিবে, তাহ নাও হইতে পারে। বিড়ালের যদি দার্শনিক হয়, তাহারা বিড়াল জগৎ দেখিবে, তাহারা সিদ্ধান্ত করিবে, কোন বিড়াল এই জগৎ শাসন করিতেছে । অতএব আমরা দেখিতেছি, জগৎ সম্বন্ধে আমাদের ব্যাখ্যা পূৰ্ণব্যাখ্যা নহে, আর আমাদের ধারণাও জগতের সর্বাংশস্পশী নহে। মানুষ যে ভাবে জগৎ সম্বন্ধে ভয়ানক স্বার্থপর মীমাংসা করে, তাহা গ্রহণ করিলে ভ্রমে পতিত হইতে হয়। বাহাজগৎ হইতে জগৎসম্বন্ধে যে মীমাংসা লব্ধ হয়, তাহার দোষ এই যে, আমরা যে জগৎ দেখি, তাহা আমাদের নিজেদের জগৎমাত্র, সত্য সম্বন্ধে আমাদের বতটুকু দৃষ্টি, ততটুকু। প্রকৃত সত্য—সেই পরমার্থ বস্তু কখন ইন্দ্রিয়গ্রাহ হইতে পারে না। কিন্তু আমরা জগৎকে ততটুকুই জানি যতটুকু পঞ্চেস্ক্রিয়বিশিষ্ট প্রাণীর দৃষ্টিতে পড়ে। মনে কর, আমদের আর একটা ইক্রিয় হইল—তাহা হইলে সমুদয় ব্ৰহ্মাও আমাদের দৃষ্টিতে অবশুই আর একরূপ ধারণ করিবে। মনে কর, আমাদের একটী চৌম্বক ইঞ্জিয় হইল, জগতে হয়ত এমন লক্ষ লক্ষ শক্তি আছে, যাহ উপলব্ধি করিবার আমাদের কোন-ইঞ্জিয় নাই— তখন সেই গুলির উপলব্ধি হইতে লাগিল। আমাদের ইন্দ্রিয়গুলি সীমাবদ্ধ—বাস্তবিক অতি সীমাবদ্ধ—আর ঐ সীমার মধ্যেই ՀԳծ