পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপরোক্ষানুভূতি। আশ্চর্য্যের বিষয়, অধিকাংশ লোক, বিশেষতঃ বৰ্ত্তমানকালে, ভাবিয়া থাকে, ধৰ্ম্মতত্বে কিছু প্রত্যক্ষ করিবার নাই—যদি কিছু ধৰ্ম্মতত্ত্ব লাভ করিতে হয়, তবে তাহ বাহিরের বৃথা স্তর্কের দ্বারাই লাভ করিতে হইবে । কিন্তু বাস্তবিক ধৰ্ম্ম কথার ব্যাপার নহে-প্রত্যক্ষের বিষয় । অামাদিগকে আমাদের আত্মার ভিতরে অন্বেষণ করিয়া দেখিতে হইবে, সেখানে কি আছে। আমাদিগকে উহা বুঝিতে ইবে, আর যাহা বুঝিব, তাহ সাক্ষাৎ করিতে হইবে। ইহাই ধৰ্ম্ম। যতই চীৎকার কর না কেন, তাহ ধৰ্ম্ম নহে। অতএব একজন ঈশ্বর আছেন কি না, তাহ বৃথা তর্কের দ্বারা প্রমাণিত ইবার নহে, কারণ, যুক্তি উভয়দিকেই সমান । কিন্তু যদি একজন ঈশ্বৰ থাকেন, তিনি আমাদের অন্তরে আছেন। তুমি কি কথন ইহাকে দেখিয়াছ ? ইহাই প্রশ্ন। যেমন জগতের অস্তিত্ব আছে কি না -এই প্রশ্ন এখনও মীমাংসিত হয় নাই, প্রত্যক্ষবাদী ও বিজ্ঞানবাদীদের (Idealists) তর্ক অনন্তকাল, ধরিয়া চলিয়াছে। এইরূপ তর্ক চলিতেছে মৃত্য, কিন্তু আমর। জানি জগৎ রহিয়াছে, উচ চলিয়াছে। আমরা কেবল এক শব্দের ভিন্ন ভিন্ন অর্থ করিয়া এই তর্ক করিয়া থাকি। . আমাদের জীবনের অন্যান্ত সকল প্রশ্ন সম্বন্ধেও তাহাই-আমাদিগকে প্রত্যক্ষামুভূতি লাভ করিতে হইবে। দিন বহির্বিজ্ঞানে, তেমনি পরমার্থবিজ্ঞানেও আমাদিগকে কতকগুলি পারমার্থিক ব্যাপার প্রত্যক্ষ করিতে হইবে। তাহারই উপর * স্থাপিত হইবে। অবশ্য কোন ধর্মের যে কোন মতই ইউক ন৷ ইহাতেই বিশ্বাস স্থাপন করিতে হইবে, এই অযৌক্তিক দাবিতে কোন আস্থা করা যাইতে পারে না ; উহা মনুষ্যমনের অবনতি | ఫిసిసి

| t #
s f