পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপরোক্ষানুভূতি। অত্যন্ত অধিক জল, অনেক গ্রাম এবং সহস্ৰ সহস্র ব্যক্তি প্রতি বর্ষে অতিরিক্ত জলপ্লাবনে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। অতএব আমার স্বর্গ নিম্নদেশে নদীপ্রবাহফুক্ত উষ্ঠানপূর্ণ হইলে চলিবে না ; আমার স্বর্গ গুহ্মভূমিপূর্ণ অধিকবর্ষাশুন্য হওয়া আবশ্বক। আমাদের জীবন সম্বন্ধেও তদ্রুপ, আমাদের মুখের ধারণা ক্রমাগত বদলাইতেছে। যুবক যদি স্বর্গের ধারণা করিতে যায়, তবে তাহার কল্পনায় উহ পরম সুন্দরী স্ত্রীগণের দ্বারা পূর্ণ হওয়া আবগুক। সেই ব্যক্তিই আবার বৃদ্ধ হইলে তাহার আর স্ত্রীর আবশ্বকতা থাকিবে না। আমাদের প্রয়োজনই আমাদের স্বর্গের নিৰ্ম্মাতা আর আমাদের প্রয়োজনের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের স্বৰ্গও বিভিন্নরূপ ধারণ করে। যদি আমরা এমন এক স্বর্গে যাই, যেখানে অনন্ত ইন্দ্ৰিয়মুখ লাভ হইবে, সেখানে আমাদের বিশেষ উন্নতি কিছুই হইবে না—যাহারা বিষয়ভোগকেই জীবনের একমাত্র উদ্দেশু বলিয়া বিবেচনা করে, তাহারাই এইরূপ স্বৰ্গ প্রার্থনা করিয়া থাকে। ইহা বাস্তবিক মঙ্গলকর না হইয়া মহা অমঙ্গলকর হইবে। এই কি আমাদের চরম গতি ? একটু হাসিকাম, তার পর কুকুরের ন্যায় মৃত্যু ? যখন এই সকল বিষয়ভোগের প্রার্থনা কর, তখন তোমরা মানবজাতির যে কি ঘোর অমঙ্গল কামনা করিতেছে, তাহ জান না । বাস্তবিক ঐহিক সুখভোগের কামনা করিয়া তুমি তাহাই করিতেছ, কারণ, তুমি জান না, প্রকৃত আনন্দ কি। বাস্তবিক, দর্শনশাস্ত্রে আনন্দ ত্যাগ করিতে উপদেশ দেয় না, প্রকৃত আনন্দ কি, তাহাই শিক্ষা দেয়। নরওয়েবাসীদের স্বর্গ সম্বন্ধে ধারণা এই যে, উহা একটা ভয়ানক যুদ্ধক্ষেত্রে—সেখানে সকলে ওডিন ՀՏԳ