পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপরোক্ষানুভূতি। আবরণ, অর্থাৎ দেহ ও মনের তারতম্যাকুসারে আত্মার শক্তি ও পবিত্রত প্রকাশ পাইতে থাকে। অতএব এই খানেই বুঝিয়া রাখা ভাল যে, বেদান্তদর্শনে ভালমন্দ বলিয়া দুইটী পৃথক্ বস্তু নাই। সেই এক জিনিষই ভাল মন্দ দুই হইতেছে আর উহাদের মধ্যে বিভিন্নত কেবল পরিণামগত ; এবং বাস্তবিক কাৰ্য্যক্ষেত্রেও আমরা তাহাই দেখিতেছি। আজ যে জিনিষকে আমি সুখকর বলিতেছি, কাল আবার একটু পূৰ্ব্বাপেক্ষ ভাল অবস্থা হইলে তাহা দুঃখকর বলিয়া ঘৃণা করিব। অতএব বাস্তবিক বস্তুটীর বিকাশের বিভিন্ন মাত্রার জন্যই ভেদ উপলব্ধি হয়, সেই জিনিষটতে বাস্তবিক কোন ভেদ নাই। বাস্তবিক ভালমন্দ বলিয়া কোন জিনিষ নাই। যে উত্তাপ আমার শীত নিবারণ করিতেছে, তাহাই কোন শিশুকে দগ্ধ করিতে পারে। ইহা কি অগ্নির দোষ হইল ? অতএব যদি আত্মা শুদ্ধস্বরূপ ও পূর্ণ হয়, তবে যে ব্যক্তি অসৎকাৰ্য্য করিতে যায়, সে আপনার স্বরূপের বিপরীতচরণ করিতেছে—সে আপনার স্বরূপ জানে না। ঘাতকব্যক্তির ভিতরেও শুদ্ধস্বভাব আত্মা রহিয়াছেন। সে ভ্রমবশতঃ উহাকে আবৃত রাখিয়াছে মাত্র, উহার জ্যোতি: প্রকাশ হইতে দিতেছে না । আর যে ব্যক্তি মনে করে, সে হত হইল, তাহারও আত্মা হত হন না। আত্মা নিত্য-কখন তাহার ধ্বংস হইতে পারে না। “অণুর অণু, বৃহতেরও বৃহৎ সেই সকলের প্রভু প্রত্যেক মানবহৃদয়ের গুহপ্রদেশে অবস্থান করিতেছেন। নিম্পাপ ব্যক্তি বিধাতার কৃপায় তাহাকে দেখিয়া সকলশোকশূন্ত হন। যিনি দেহশূন্ত হইয় দেহে অবস্থিত, যিনি দেশবিহীন হইয়াও দেশে Sàe )