পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । তর প্রজাতন্ত্র শাসনপ্রণালীর উচ্চ হইতে উচ্চতর ধারণা লাভ করিতেছে, বাহ স্বাধীনতার উচ্চ হইতে উচ্চতর ধারণা লাভ করিতেছে, দর্শনেও ঠিক সেইরূপ ব্যাপার ঘটিয়া থাকে ; তবে এ আধ্যাত্মিক জীবনের স্বাধীনতা—এইমাত্র প্রভেদ । বহুদেববাদ হইতে ক্রমশঃ লোকে একেশ্বরবাদে উপনীত হয়— উপনিষদে আবার যেন এই একেশ্বরের বিরুদ্ধে সমরঘোষণা হইয়াছে। জগতের অনেক শাসনকর্তা তাহদের অদৃষ্ট নিয়ন্ত্রিত করিতেছেন, শুধু এই ধারণাই তাহদের অসহ হইল, তাঙ্গা নহে, একজন তাহাদের অদৃষ্টের বিধাতা হইবেন, এ ধারণাও উাহারা সহ করিতে পারিলেন না। উপনিষদ আলোচনা করিতে গিয়া এইটাই প্রথমে আমাদের দৃষ্টিপথে নিপতিত হয় । এষ্ট ধারণা ধীরে ধীরে বাড়িয়া অবশেষে উহার চরম পরিণতি হইয়াছে। প্রায় সকল উপনিষদেই অবশেষে আমরা এই পরিণতি দেখিতে পাই। তাহ এই যে,—জগদীশ্বরকে সিংহাসনচ্যুত-করণ। ঈশ্বরের সগুণ ধারণা গিয়া নিগুৰ্ণ ধারণা উপস্থিত হয়। ঈশ্বর তখন জগতের শাসনকর্তী একজন ব্যক্তি থাকেন লা—তিনি তখন আর একজন অনন্তগুণসম্পন্ন মনুষ্যধৰ্ম্মবিশিষ্ট নন, তিনি তখন ভাব মাত্র, এক পরম তত্ত্বমাত্ররূপে জ্ঞাত হন ; আমাদিগের ভিতর, জগতের সকল প্রাণীর ভিতর, এমন কি সমুদয় জগতে সেই তত্ত্ব ওতপ্রোতভাবে বিরাজিত। আর অবশু যখন ঈশ্বরের সগুণ ধারণা হইতে নিগুৰ্ণ ধারণায় পহুছান শ্বেল, তখন মাজুবও আর সগুণ থাকিতে পারে না। অতএব মানুষের সগুণত্বও উড়িয়া গেল-মানুষও একটী তত্ত্ব মাত্র। সগুণ ব্যক্তি বহির্দেশে \రిృు -