পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । অবশু তাহার প্রথম উপদেশ এই হইবে যে, স্বার্থপরতা, আত্মমুখ ত্যাগ কর। আমি ভাবিলাম, ইহা কার্ধ্যে পরিণত করা অসম্ভব। কিন্তু যদি কেহ এমন এক আদর্শ বিষয়ের উপদেশ দেন, যাঙ্গ আমার সমুদয় স্বার্থপরতার, সমুদয় অসাধু ভাবের সমর্থন করে, আমি অমনি বলিয়া উঠি, ইহাই আমার আদর্শ—আমি সেই আদর্শ অনুসরণ করিতে ব্যস্ত হইয়া পড়ি। যেমন শাস্ত্রীয় ‘অশাস্ত্রীয় কথা লইয়া লোকে গোলযোগ করিয়া থাকে ; আমি যাহা বুঝি, তাহ শাস্ত্রীয়—তোমার মত অশাস্ত্রীয়। ব্যবহারগম' (Practical) কথাটা লইয়াও এইরূপ গোলযোগ হইয়াছে। আমি যাহাকে কাজে লাগাইবার মত বলিয়া বোধ করি, জগতে তাহাষ্ট একমাত্র ব্যবহারগম্য। যদি আমি দোকানদার হই, আমি মনে করি, দোকানদারীই একমাত্র বব্যহারগম্য ধৰ্ম্ম । যদি আমি চোর হই, আমি মনে করি, চুরি করিবার উত্তম কৌশলই সৰ্ব্বোত্ত ব্যবহারগম্য ধৰ্ম্ম । তোমরা দেখিতেছ, আমরা কেমন এই ব্যবহারগম্য শব্দ কেবল আমরাই যাহা বৰ্ত্তমান অবস্থায় করিতে পারি সেই বিষয়েই প্রয়োগ করিয়া থাকি। এইহেতু আমি তোমা দিগকে বুঝিয় রাখিতে বলি যে, যদিও বেদান্ত চূড়ান্তভাবে ব্যবহার গম্য বটে, কিন্তু সাধারণ অর্থে নহে,উহ আদর্শ হিসাবে ব্যবহারগম্য। ইহার আদর্শ যতই উচ্চ হউক না কেন, ইহা কোন অসম্ভব আদর্শ আমাদের সম্মুখে স্থাপন করে না, অথচ এই আদর্শ আদর্শনামের উপযুক্ত। এক কথায় ইহার উপদেশ তামসি’, তুমিই সেই ব্ৰহ্ম, ইহার সমুদয় উপদেশের শেষ পরিণতি এই। ইহার নানাবি বিচার পূর্বপক্ষ সিদ্ধাস্তাদির পর তুমি পাও এই যে, মানবার 38