পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবনে বেদান্ত । মস্তিষ্কে আর ঐগুলি প্রবেশ করাইবে না। এই প্রবৃত্তিকে জয় কর । ধৰ্ম্মবিষয়ে শিখাইবার আর কি আছে ? কেবল বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের একত্ব ও আত্মবিশ্বাস । শিক্ষা দিবার আছে কেবল এইটুকু। লক্ষ লক্ষ বৎসর ধরিয়া মানুষ ইহাই চেষ্টা করিয়া আসিয়াছে, আর এখনও করিতেছে। তোমরাও এক্ষণে ইহা শিক্ষা দিতেছ, ইহা আমরা জানি। সকল দিক্ হইতেই এই শিক্ষা আমরা পাইতেছি। কেবল দর্শন ও মনোবিজ্ঞান নহে, জড়বিজ্ঞানও ইহাই ঘোষণা করিতেছে। এমন বৈজ্ঞানিক কি দেখাইতে পার, যিনি আজ জগতের একত্ববাদ অস্বীকার করিতে পারেন ? কে এখন জগতের নানাত্ববাদ প্রচার করিতে সাহস করেন ? এই সমুদয়ই ত কুসংস্কার মাত্র ! এক প্রাণ মাত্র বিদ্যমান, এক জগৎমাত্র বিদ্যমান, আর তাহাই আমাদের চক্ষে নানাবৎ প্রতিভাত ইষ্টতেছে, যেমন স্বপ্নদর্শনকালে এক স্বপ্ন দর্শনের পরে অপর স্বপ্ন আইসে। স্বপ্নে যাহা দেখ, তাহ ত সত্য নহে। একটি স্বপ্নের পর অপর স্বপ্ন আইসে-বিভিন্ন দৃশ্য তোমাদের নয়নসমক্ষে উদ্ভাসিত হইতে থাকে। এইরূপ এই জগৎ সম্বন্ধেও। এখন ইহা পনর আন দুঃখ ও এক আন সুখরূপে প্রতিভাত হইতেছে। হয়ত কিছুদিন পরে ইহাই পনর অান মুখে পরিপূর্ণরূপে প্রতিভাত হইবে—তখন আমরা ইহাকে স্বর্গ বলিব। কিন্তু সিদ্ধ হইলে তাহার এমন এক অবস্থা আসিবে, যখন এই সমুদয় জগৎপ্ৰপঞ্চ আমাদের নয়নসমক্ষ হইতে অন্তৰ্হিত হইবে—উহা ব্ৰহ্মরূপে প্রতিভাত্ত হইবে এবং আমাদের আত্মাকেও ব্রহ্ম বলিয়া অনুভব হইবে। శ్రీశ్రళి