পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । আমরা ইহা হইতেও কতকগুলি ভাব পাইতে পারি আর পরে হয় ত আমরা ইহার অর্থ অনেকটা বুঝিতে পারিব। শেষ কথ. গুলি অর্থাৎ স্বর্গে গমন করিয়া জীব আবার কিরূপে ফিরিয়৷ আসে, তাহ প্রথম কথাগুলির অপেক্ষ যেন কিছু স্পষ্টতর বোধ হয়, কিন্তু এই সকল উক্তির সার তাৎপৰ্য্য এই বোধ হয় যে, ব্ৰহ্মামুভূতি ব্যতীত স্বৰ্গাদিলাভ বৃথা । মনে কর কতকগুলি ব্যক্তি আছেন—তাহারা ব্ৰহ্মামুভব করিতে এখনও পারেন নাই, কিন্তু ইহলোকে কতকগুলি সৎকৰ্ম্ম করিয়াছেন, আর সেই কৰ্ম্ম আবার ফল কামনায় কৃত হইয়াছে, তাহাদের মৃত্যু হইলে তাহারা এখান ওখান নানাস্থান দিয়া যাইয়া স্বর্গে উপস্থিত হন আর আমরাও যেমন এখানে জন্মিয়া থাকি, তাহারাও ঠিক সেইরূপে দেবতাদের সন্তানরূপে জন্মিয় থাকেন, আর যতদিন তাহদের শুভ কার্ঘ্যের শেষ না হয়, ততদিন তাহারা তথায় বাস করেন। ইহা হইতেই বেদান্তের একটা মূলতত্ত্ব পাওয়া যায় যে, যাহার নামৰূপ আছে, তাছাই নশ্বর। সুতরাং স্বৰ্গও অবশু নশ্বর হইবে, কারণ, তথায় নামরূপ রহিয়াছে। অনন্ত স্বৰ্গ স্ববিরুদ্ধ বাক্যমাত্র, যেমন এই পৃথিবী কখন অনন্ত হইতে পারে না, কারণ, যে কোন বস্তুর নাম রূপ আছে, তাহারই উৎপত্তি কালে, স্থিতি কালে এবং বিনাশও কালে । বেদান্তের এই সিদ্ধান্ত স্থির—সুতরাং অনন্ত স্বর্গের ধারণা পরিত্যক্ত হইল । আমরা দেখিয়াছি, বেদের সংশ্চিত ভাগে অনন্ত স্বর্গের কথ আছে, যেমন মুসলমান ও খ্ৰীশচীয়ানদের আছে। মুসলমানের আবার স্বর্গের অতিশয় স্থল ধারণা করিয়া থাকে। তাহার বলে, - ©ፃፉል .