পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবনে বেদান্ত । প্রাপ্ত হইতে হইতে অনন্তের দিকে চলিয়াছে, এক্ষণে মানুষরূপ ধারণ করিয়াছে। অতএব সীমাবদ্ধ জীবাত্মাকেও ব্যক্তি বলা যাইতে পারে ; তিনি ক্রমশঃ পূর্ণ ব্যক্তিত্বের দিকে অগ্রসর হইতে ছেন। পূর্ণ ব্যক্তিত্ব তখনই লাভ হইবে, যখন তিনি অনন্তে পহুছিবেন, কিন্তু সেই অবস্থালাভের পূৰ্ব্বে তাহার ব্যক্তিত্বের ক্রমাগত পরিণাম, ক্রমাগত বিকাশ হইতেছে। অদ্বৈতবেদান্তের এক বিশেষ প্রকার গতি ছিল। অনেক সময় ইহাতে উহার অনেক উপকার হইয়াছিল আবার ইহাতে কখন কখন উহার গভীর তত্ত্বের অনেক ক্ষতিও হইয়াছে। সেই গতি এই-পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব মতের সহিত উহার সামঞ্জস্ত সাধন করা। বৰ্ত্তমানকালে ক্রমবিকাশবাদীদের যে মত, তাহদেরও সেই মত ছিল, অর্থাৎ তাহারা বুঝিতেন, সমুদয়ই ক্রমবিকাশের ফল, আর এই মতের সহায়তায় তাহারা সহজেই পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব প্রণালীর সহিত এই মতের সামঞ্জস্তবিধানে কৃতকাৰ্য্য হইয়াছিলেন। সুতরাং পূৰ্ব্ববৰ্ত্তা কোন মতই পরিত্যক্ত হয় নাই। বৌদ্ধমতের এই একটী বিশেষ দোষ ছিল যে, তাহারা এই ক্রমবিকাশবাদ বুঝিতেন না, সুতরাং তাহারা আদর্শে আরোহণ করিবার পূর্ববৰ্ত্ত সোপানগুলির সহিত তাহাদের মতের সামঞ্জস্ত করিবার কোন চেষ্টা পান নাই। বরং সেগুলিকে নিরর্থক ও অনিষ্টকর বলিয়া পরিত্যাগ করিয়াছিলেন। ধৰ্ম্মে এরূপ গতি বড় অনিষ্টকর হইয় থাকে। কোন ব্যক্তি এক নূতন ও শ্রেষ্ঠতর ভাব পাইল। তখন সে তাহার পুরাতন ভাবগুলির দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া সিদ্ধান্ত করে, সেগুলি অনিষ্টকর ও অনাবশুক ছিল। সে কখন ইহা ভাবে না যে, তাহার 8←