পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবনে বেদান্ত । যদি তুমি খণ্ড দৃষ্টিতে জগৎকে দেখ, তবে জগৎ তোমার নিকট এইরূপই প্রতীয়মান হইবে। দ্বৈতবাদীর দৃষ্টি হইতে এই জগৎ কেবল ভূত বা শক্তির স্বষ্টিরূপেই দৃষ্ট হইতে পারে, উহাকে কোন বিশেষ ইচ্ছাশক্তির ক্রীড়ারূপেই চিন্তা করা যাইতে পারে, আর সেই ইচ্ছাশক্তিকেও জগৎ হইতে পৃথকৃরূপেই ভাবনা সম্ভব। এই দৃষ্টি হইতে মানুষ আপনাকে আত্মা ও দেহ উভয়ের সমষ্টি, এইরূপেই চিন্তা করিতে পারে আর এই আত্মা সসীম হইলেও পূর্ণ। এরূপ ব্যক্তির অমরত্ব ও অন্যান্য বিষয় সম্বন্ধে যে ধারণ, তাহাও সেই আত্মাতেই প্রযুক্ত হইবে। এই জন্যই এই মতগুলিও বেদান্তে রক্ষিত হইয়াছে আর এই জন্যই দ্বৈতবাদীদের খুব প্রচলিত সাধারণ মতগুলিও তোমাদের নিকট আমার বলা আবশ্যক। এই মতানুসারে প্রথমতঃ অবশ্য আমাদের স্থল শরীর হইয়াছে। এই স্কুলশরীরের পশ্চাতে সূক্ষ্মশরীর। এই সূক্ষ্মশরীরও ভৌতিক, তবে উহা খুব স্বশ্নভূতে নিৰ্ম্মিত। উহা আমাদের সমুদয় কৰ্ম্মের আশয়স্বরূপ। সমুদয় কর্থের সংস্কার এই হুক্সশরীরে বর্তমান— তাহারা সৰ্ব্বদাই ফলপ্রদানোন্মুখ হইয়া আছে। আমরা যাহা কিছু চিস্তা করি, আমরা যে কোন কাৰ্য্য করি, তাহাই কিছুকাল পরে স্বহ্মস্বরূপ ধারণ করে, যেন বীজভাল প্রাপ্ত হয়, আর তাহাই এই শরীরে অব্যক্তভাবে অবস্থান করে, কিছুকাল পরে আবার প্রকাশ হইয় ফলপ্রদান করে। মানুষের সারা জীবনটাই এইরূপ। ণে আপন অদৃষ্ট নিজেই গঠন করে। মানুষ আর কোন নিয়ম দ্বারা বদ্ধ নহে, সে আপনার নিয়মে, আপনার জালে আপনি বদ্ধ। আমরা যে সকল কৰ্ম্ম করি, আমরা যে সকল চিন্তা করি, তাহার 8ՀԳ