পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । প্রকৃতিই অসৎ, আর তুমি কতকগুলি ভুল করিয়াছ বলিয়া তোমাকে অনুতাপ ও ক্ৰন্দন করিয়া জীবন কাটাইতে উপদেশ করি, তাহাতে তোমার বিশেষ কিছুই উপকার হইবে না, বরং উহা তোমাকে অধিকতর দুৰ্ব্বল করিয়া ফেলিবে,আর তাহাতে তোমাকে ভাল হইবার পথ না দেখাইয় বরং আরও মন্দ হইবার পথ দেখান হইবে। যদি সহস্ৰ বৎসর ধরিয়া এই গৃহ অন্ধকারময় থাকে আর তুমি সেই গৃহে আসিয়া হায়, বড় অন্ধকার! বড় অন্ধকার! বলিয়া রোদন করিতে আরম্ভ কর, তবে কি অন্ধকার চলিয়া যাইবে ? একটী দিয়াশলাই জালিলেই এক মুহূৰ্ত্তে গৃহ আলোকিত হইবে । অতএব সারা জীবন আমি অনেক দোষ করিয়াছি, আমি অনেক অদ্যায় কায করিয়াছি, বলিয়া চিন্তা করিলে তোমার কি উপকার হইবে ? আমরা যে নানাদোষে দোষী, ইহা কাহাকেও বলিয়া দিতে হয় না । জ্ঞানের আলো জাল, এক মুহূৰ্ত্তে সব অশুভ চলিয়া যাইবে । নিজের প্রকৃতস্বরূপকে প্রকাশ কর, প্রকৃত ‘আমি’কে, সেই জ্যোতিৰ্ম্ময়, উজ্জ্বল, নিত্যশুদ্ধ ‘আমি কে-প্রকাশ কর— প্রত্যেক ব্যক্তিতে সেই আত্মাকে প্রকাশ কর। আমি ইচ্ছা করি, সকল ব্যক্তিই এমন অবস্থা লাভ করুন যে, অতি জঘন্ত পুরুষকে দেখিলেও তাহার বাহিরের দুৰ্ব্বলতার দিকে লক্ষ্য নী করিয়া তাহার হৃদয়াভ্যন্তরবর্তী ভগবানকে দেখিতে পারেন আর তাহার নিন্দ না করিয়া বলিতে পারেন, ‘হে স্বপ্রকাশ জ্যোতিৰ্ম্ময়, উঠ ; হে সদাগুদ্ধস্বরূপ, উঠ ; হে অজ, অবিনাশ, সৰ্ব্বশক্তিমান, উঠ, আত্মস্বরূপ প্রকাশ কর। তুমি যে সকল ক্ষুদ্র ভাবে আবদ্ধ হইয়া রহিয়াছ, তাহা তোমাতে সাজে না " 883.