পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ ዓ8 সেই আকাশ সমুদায় জগতের আধার। সুতরাং আধেয় বলিতে পদার্থ মাত্রকেই বুঝাইতেছে । জগৎ সমূহের আধার শূন্যকে আমরা ‘কিছুই না বলিয়া থাকি। কিন্তু উছা যে নিশ্চয়ই কিছু না, তাহার নিশ্চয় কি ? এই প্রকাও ব্রহ্মাণ্ডের অণধার যে কিছুই না, তাছা কিরূপে বলা যায় ? এমনও বলা যাইতে পারে যে, উছ অাম দিগের অতীন্দ্রিয় পদার্থে নির্থিত, কেন না শূন্য ও জগৎ সমুদয় লইয়াই বিশ্ব অথবা আধার ও অণধেয় লইয়াই বিশ্ব । এই জন্য আর্য পশুিতেরা আকাশকে ভৌতিক পদার্থ ৰলিয়াছেন । কিন্তু যাহাই হউক, বিশ্বের অংশভূত আকাশ যে অসীম, ভtহাতে বোধ হয় কাছারও সন্দেহ নাই। মানব! তুমি কখনও আধেয় শূন্য আধার দেখিয়াছ ? অবশ্য বলিবে, মা। তবে তুমি আকাশকে আধেয় শূন্য বল কেন ? যখন জগৎ সকলের অধিগর আকাশ অসীম তখন উছার অধেয় জগৎ সংখ্যাও অসীম হুইবে সুতরাং ভোমণকে বলিভে হইবে যে বিশ্বের সীমা নাই; পরিমাণ সম্বন্ধে বিশ্ব অসীম। জ্যোতিৰ্ব্বিদ্‌ পণ্ডিতেরা কিয়ৎ পরিমাণে ইহা স্বীকার করিয়াছেন। উছারা বলেন কোন নক্ষত্র এত দুরে অবস্থিত ষে তাছার আলোক অদ্যাপি পৃথিবীতে আসে নাই অথচ আ মানবতত্ত্ব। (জ্ঞানাঙ্কুর ফাঃ, ১২৮২ লোকের গতি প্রতি সেকণ্ডে প্রায় ৯৬০০০ ক্রোশ। পূর্বে বলা হুইয়াছে যে, পদার্থের শক্তি প্রকাশের নাম কার্য। চুম্বক লেছি আকর্ষণ করিতেছে অর্থাৎ চুম্বক লৌহ আকর্ষ ণীশক্তি প্রকাশ করিতেছে । মনুষ্য গমন করিতেছে অর্থাৎ গতিশক্তি প্রকাশ করিতেছে । এইরূপে বিবেচনা করিয়া দেখিলে স্পষ্টই বুঝা যাইবেক যে কাৰ্য্য, শক্তি প্রকাশ ভিন্ন আর কিছুই নছে। কিন্তু কার্যের ব্যাপ্তির নাম কাল। উছকে কার্যের আাধারও বলা যাইতে পারে। যেমন যতখানি আকাশ অবলম্বন করিয়া কোন পদার্থ বিস্তৃত রছিয়াছে তাছাকে তাছার পরিমাণ কছে, সেইরূপ যতখানি কাল অবলম্বন করিয়া কোন কার্য্য অর্থাৎ কোন পদার্থের শক্তি প্রকাশ হইতেছে তাহাকে তাছার স্থিতি কছে । কাল যে অনাদি অনন্তু সে বিষয়ে বোধ হয় কাহারও সন্দেছ নাই । আধেয় কার্য্য কেননা অনন্ত হইবে ? সুতরাং কার্যের আধার বিশ্বও অনাদি অনন্ত । বিশ্ব কখনও স্বস্ট হয় মাই, কখনষ্টও নও হইবে না । উহা চিরকাল আছে, চিরকাল থাকিবে। দেখিয়া শুনিয়া যাহা জানা যায় যদি তাছারই নাম জ্ঞান হয়, মীমাংসা করিতে যদি যুক্তিরই সহায়তা লইতে ছয়, আগুৰাক্য কাল অনন্ত হইলে উহার