পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাঙ্কুরকাঃ, ১২ ৮২) কাছার উপর প্রভুত্বের অভিলাষ করেন ? তাহার প্রতিদ্বন্দ্বী কে আছে ? কিজনী তাহার এত আত্মাভিমান ? তিনি কি এত ক্ষুদ্রচেতা যে, প্রশংসা শুনিয়া গলিয়া যান ? যে মনুষ্য আগন কৰ্ণে আপনার প্রশংসা শুনিতে ভাল বাসে, লোকে তাহাকে নিতান্ত ক্ষুদ্রচিত্ত ও অহঙ্কারী বলিয়া ঘৃণা করে । ঈশ্বর কি তাহা হইতেও ক্ষুদ্রচেতা ও আত্মাভিমানী ? তিনি কি প্রশংসা শুনিবার নিমিত্ত আমাদিগকে জগতে আনিয়াছেন ? যদি তাহা সত্য ছয়, তবে এই বিশ্ব কেবল মানবে পরিপূর্ণ করিলেই পারিতেন । পশু, পক্ষী, কীট পতঙ্গ, বৃক্ষ, লতা প্রভৃতি যাহার। র্তাহার উপাসনা করে না, তাছাদের স্বটি কেন করিয়াছেন ? মনুষ্যদিগকে অণহারাদি চিত্তার দায় হইতে মুক্ত করিয়া কেবল র্তাহার উপাসনার নিযুক্ত করিলেই পারিতেন । অার একটি আশ্চর্য্য কথা এই যে, মনুষ্যকে তাছার নিকট ক্লভজ্ঞ হইতে হইবে। অর্থাৎ হে ঈশ্বর ! তুমি কৃপা করিয়া আমাদিগকে স্বজন করিয়াছ, আমাদিগকে আহারাদি প্রদান করিয়া জীবন রক্ষা করিতেছ, তোমার রূপায় আমরা অশেষবিধ সুখজনক দ্রব্য প্রাপ্ত হুইতেছি ইত্যাদি বলিয়া তাহার কৃত উপকার স্বীকার করিতে হইবেক, . না করিলে তিনি মিতান্ত ৰুষ্ট হইবেন, : মানবতত্ত্ব । Sb-S ভাঙ্গর কারণ কি ? মনুষ্য পরের উপকণর করিলে তাহার নিকট অপরকে কৃতজ্ঞ হইতে হয়। কারণ মনুষ্য স্বার্থপর । নিজের সুখই তাহার উদ্দেশ্য, পরের মুখের প্রতি দৃষ্টি করা তাহার অনুগ্রহ, না করিলে কেছ তাছাকে দোষী বলিতে পারেন না । সুতরাং যে মনুষ্য পরের উপকার করে সে নিতান্ত অনুগ্রহ করে তন্নিমিত্ত উপকৃত ব্যক্তির তাহার নিকট রুভজ্ঞ হওয়া উচিত। কিন্তু ঈশ্বরের নিকট কৃতজ্ঞ হওয়ার অবশ্যক কি ? জন্ম দিয়া তিনি আমাদিগের কি উপকার করিয়াছেন ? জন্ম না দিতেন, আমরা জস্মিতাম না । যখন আমাদিগের সত্ত্ব মাত্রই হইত না,তখন উপকার কি অপকার কিছুই হইত না । আমাদিগের জীবন রক্ষা বা মুখপ্রদান করেন বলিয়া র্তাহার নিকট কৃতজ্ঞ হইবার কারণ নাই । কেননা আমরাই তাহার এবং আস্থার না করিলে যে আমরা মরিরা যাই সে নিয়মও তাহার। আহার দেন, র্তাহার আমরা বাচিব, না দেন তাহার আমরা মরিব । তাহাতে র্তাহারই ক্ষতি, আমাদের কি? তাছাতে তাহারই কৃতকার্যের ধ্বংস হইবে। যদি আমরা তাহার স্বস্ট না হইতাম, নিজের বা অপর কোন শক্তি হইতে উৎপন্ন হইতাম, আর তিনি আহারাদি প্রদান ক্ষরিতেন, আমণদিগকে বাচাইতেন, ও সুখী করিতেন,