২১২ আত্মীয়া সহবাসে অতিবাহিত করিয়া সন্ধ্যার অব্যবছিত কাল পূর্বে বাটী ফিরিতেছেন । এরূপ পল্লিগ্রামে নিতান্তু সম্পন্ন না হইলে, লোক জন সঙ্গে লইয়া বা যান।দি আরোহণে গমনাগমন প্রথা নাই । বিমলা একাকিনী আসিতেছেন। একাকিনী বলিয়া কিছু ভীতি ও ব্যস্ততা সহ চলিতেছেন । ক্রমে সন্ধ্য উপস্থিত হইল । বিমলাও নিজলয় সন্নিহিত হইলেন । এমন সময় সহসা পার্শ্বস্থ প্রকাও ভগ্নাবশেষ ভবন হইতে শব্দ হইল,— “বিমলা ! একবার তামাদের বাটীতে এসো ।” স্বর নারী কণ্ঠ নিঃস্থত। যে বাটী হইতে শব্দ সমুথিত হইল, তাহ সুশীলা নাম্নী বিমলার ক্রীড়া সহচরীর আলয় । সুশীল ধনীর কন্যা । কিন্তু কালধৰ্ম্মে ও অদৃষ্ট চক্রে নিদাৰুণ দীনতা তাহাদিগকে বিদলিত করিতেছে । সুশীল পিতৃহীন । তাছার জননী এক সুপাত্ৰ সন্ধান করিয়া তনয়ার বিবাহ দিয়াছিলেন । মাতা কন্যা সহ অন্য উপায়ীভাবে জামাতৃ গৃছে বাস করিতেন। কখন কদাচিৎ অবন্তীপুর আসিয়া আপনাদের জীর্ণ ভবন দেখিয়া যাইতেন । ইদানীং র্তাহারা অনেক দিন এখানে আইসেন নাই । বিমলা আহবান শব্দ শ্রবণে অনুমান করিলেন, হয়ত সুশীলা বিমল । (জ্ঞানাঙ্কুর চৈঃ,১২৮২ - - ও তাছার মাতা আসিয়াছেন। মনে বড় আনন্দ হুইল । বিমলা ব্যস্ততা সহ প্রবেশ দ্বার দিয়া ভবনমধ্যে প্রবেশ করিলেন। সন্ধ্যা কাল, তাহাতে মন সুশীলার দর্শনশীয় উল্লসিত, সুতরাং বিমলা অন্য কিছুই লক্ষ্য করিলেন না, নচেৎ তিনি বুঝিতে পারিতেন, ভবনে জন সমাবেশের কোনই লক্ষণ নাই । যাহাই হউক বিমলা ভবনমধ্যে প্রবেশ করিলেন—দেখিলেন কই কেহই নাই ! প্রকোষ্ঠ মধ্যে প্রবেশ করিলেন,— তথায়ও কেহ নাই তো ! বিমলা সভয়ে বলিলেন,--- “তোমার কোথা গ; ?” প্রান্তের প্রকোষ্ঠ হইতে श्न,-- “এ দিকের ঘরে ।” বিমলা সেই দিকে চলিলেন । প্রকোষ্ঠ গুলির অবস্থা অতি ভয়ানক। জীর্ণ, অসংস্কৃত ও অপরিচ্ছন্ন। ভিত্তির ইষ্টক সমস্ত শ্বেতাবরণাচ্ছাদিত নছে । তাহাও লোনা ধরিয়া বিরুত দশ প্রাপ্ত। ভলদেশ বন্ধুর ও অপরিস্কার। স্থানে স্থানে স্ত,পাকার ই দুরের মাটা। অধিকাংশ জানলা ও দ্বারের কপাট শীতবাতাতপ সহ করিয়া চরমে নিকটস্থ কোন গৃহস্থের চুল্লী মধ্যে দেহ সমৰ্পণ করিয়া জীবনের সার্থকতা সাধিত করিয়াছে। ফলতঃ রাত্রি কালে বিন আলোকে ভষ্মধ্য শব্দ
পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২২৫
অবয়ব