२> 8 পুত্র, তাহার নাম ৰুদ্ৰকান্ত । যু বতী—র্তাহারই পত্নী, নাম মালতী । কমলার সহিত বাদেবীর বিসম্বাদ চির প্রচলিত কথা ;–ৰুদ্ৰকান্তের লক্ষনী স্ত্রী আছে সুতরাং তিনি ঘোর মুখ। কিন্তু উনবিংশ শতাব্দীর সভ্যতায় মুখত তাদৃশ দোষের কথা নহে। কারণ অভিনব সভ্যতার প্রণালীতে মুর্থতাকে আবরিত করিবার অনেক উপায় উদ্ভাবিত হুইয়াছে । ৰুদ্ৰকান্ত সে সকল উপায় সম্যকৃরূপে পরিজ্ঞাত ছিলেন না, তথাপি কোন ক্রমেই র্তাহাকে মুখ বলা যাইতে পারে না । কারণ যথোচিত বিদ্যা শিক্ষার নিমিত্ত তিনি কয়েক বৎসর কলিকাতায় বাস করিয়াছিলেন, তজ্জন্য র্তাহার সভ্যতা ও বিদ্যা উভয়ই বাড়িয়াছে । সেই সময় হইতেই তিনি অপরিমিত সুরাসেবন করিতে শিখিয়াছেন, কেশরণশিতে গন্ধট্রেব্য দিয়া তিন স্থানে সিঁর্থী কাটিতে শিথিয়াছেন, গণ্ডস্থলে নবোস্তান্ত শ্মশ্র রাজি রাখিতে আরম্ভ করিয়াছেন, নেত্রদ্বয় চস্ম সমাচ্ছন্ন করিতে শিখিয়াছেন এবং চুরোটের ধূম সেবন করিতে অভ্যাস করিয়াছেন। তবে তিনি মুখ কিসে? বাস্তবিক ও তিনি যে ইংরাজি শিখেন নাই, এমন বোধ হয় না । কারণ তিনি দ্বারবান, চাকর প্রভূতির সহিত কথা কহিতে হইলে ইংরাজি ব্যবহার বিমল | (জ্ঞানাঙ্কর চঃ, ১২৮৯ করিতেন এবং পিতা প্রভৃতি গুৰুজ- | নের সহিত সাক্ষাৎ মাত্রেই "গুড- f মর্নিং’ বলিতেন, “সেকুহুগু” করিতে যাইতেন, ও বিরক্ত হইলে “ইষ্টপিট্” বলিয়া গালি দিতেন । লেখা পড়ার কথা উঠিলে, যদি সহজে পলায়ন করিবার উপায় না পাইতেন, তাছা হইলে অনায়াসে “হামিণ্টনস প্যারা ডাইজ লস্ট' গোলড়স্মিথস্ স্পেক্টেটর” প্রভৃতি পুস্তকের বাদানুবাদ করিতেন । সুতরাং বোধ হয় ইংরাজি ভাষায় তাহার সুন্দর ব্যুৎপত্তি ছিল । র্তাছার সভ্যতা সম্মত নীতি শিক্ষা হয় নাই এমন নয় । কলিকাতায় অবস্থান কালে ৰুদ্ৰকান্ত সময়ে সময়ে ব্রাহ্ম সমাজে যাইতেন । ভদ্ধেতু তিনি “স্ত্রী স্বাধীনতা” “ভাতৃভাব” “প্রেম’ প্রভূতি সমস্ত আবশ্বকীয় শব্দই শিথিয়াছিলেন । আর র্তাহাকে কি করিতে বল ? তাহার ক্রট কি ? পাঠক ! এ হেন ব্যক্তিকে যদি আপনি মুখ বা অসভ্য বলেন, তবে নিশ্চয়ই আপনার বুঝিবার ভুল ! পিতা মাতার নিকট ৰুদ্ৰকান্তের অাদরের সীমা নাই। তাহারা জানিতেন তাছাদের ছেলের মত ব্যক্তি এই “বিশ্ব বাঙ্গালায়” আর কখনই জন্মে নাই । তাহদের বিশ্বাস ছিল, ৰুদ্ৰকান্ত কলেজের “ঔট ' । সুতরাং আনন্দ ও গর্বের সীমা নাই । সে
পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২২৭
অবয়ব