|ळ नहिङ्ग आई, २ २४२) শেই পাতঞ্জল-যোগশাস্ত্ররূপ সেতু । বিনিৰ্ম্মিত হইয়াছে । পাতঞ্জলের সুত্রকার, যোগের এই রূপ লক্ষণ করিয়াছেন,— “যোগশ্চিত্তরক্তি নিরোধঃ ” । যোগ কি ? না চিত্তবৃত্তি সকলের নিরোধ। কেছ বিতর্ক করিতে পারেন— “ নমু বৃত্তি বিষয়ক বোধস্বরূপ এব পুৰুষঃ ” । মনোবৃত্তিকে বিষয়ৰূপে অবলম্বন করিয়া যে জ্ঞান স্থিতি করে, তাহাই পুৰুষ অর্থাৎ আত্মা । “কন্ঠশ্লিবৎ ইতি সাংখ্য যোগয়োঃ সিদ্ধান্তঃ * সাংখ্য এবং পাতঞ্জল উভয়েরই সিদ্ধান্ত এই যে, যেমন কাষ্ঠকে অবলম্বন করিয়া অগ্নি প্রজুলিত হয়, সেই রূপ বিষয়কে অবলম্বন করিয়াই চেতন পদার্থ স্ফৰ্ত্তি পাইয় থাকে।
- রক্তি বিলয়ে পুৰুষে ইপি নশ্বেৎ কাষ্ঠীপায়ে অগ্নিবৎ ’ ।
কাষ্ঠ-বিনষ্ট হইলে যেমন অগ্নিও বিনষ্ট হয়, সেইরূপ ধনোবৃত্তি লয়। প্রাপ্ত হইলে চেতন পদার্থও তাহt সঙ্গে লোপ পাইতে পারে । , “ ততশ্চ যোগকালেকঃ পুৰুষাৰ্থঃ ” তবে যোগে আর পুৰুষাৰ্থ কি ? এই আশঙ্কা বিমোচনার্থে পাতঞ্জলের তৃতীয় স্বত্র স্থাপিত হইয়ছে, যথা,— তদশ ತಣಿ: --স্বরূপে विश्वेश्वनम् ” * পাতঞ্জলের যোগশাস্ত্র S যোগ কালে আত্মা আপন স্বরূপে অবস্থিতি করেন, অর্থাৎ মনোবৃত্তি লয় পাইলেও আত্মা বিলুপ্ত হন না ; পরন্তু আত্মা নিরবলম্বভাবে আপন স্বরূপে অবস্থিতি করেন । যোগের সময় ড়িম অন্য সময়ে আত্মা কিরূপ হন ?
- রাত্তিসারূপ্য মিভরত্র ”
অন্য সময়ে আত্মা মনোবৃত্তির সাদৃশ্য প্রাপ্ত হন । সে কিরূপ ?
- চিত্তে ইন্দ্রিয়দ্বারণ বিষয়ণ করেণ পরিণতে সতি, পুরুষন্তদীকার ইব পরিভাব্যতে ’ ।
অর্থাৎ যখন বুদ্ধিবৃত্তি ইন্দ্রিয় দ্বার দিয়া বিষয়-বিশেষে অবতীর্ণ হইয়া, তদীয় আকারে পরিণত হয়, অর্থাৎ জল যেমন ঘটে নিপতিত হইয়া ঘটকারে পরিণত হয়, বুদ্ধিবৃত্তি যখন সেইরূপ বিষয়ে নিয়োজিত হইয়া বিষয়াকারে পরিণত হয়, তখন আত্মাও তদনুরূপ আকার বিশিষ্ট বলিয়া প্রতীয়মান হয়। “ যথ। জল-তরঙ্গেয়ু চলৎসু চন্দ্র নম্রশচভবতি তদ্ধ দ, ইতি ” যেমন চঞ্চল জলতরঙ্গে প্রতিবিম্বিত হওয়া প্রযুক্ত চন্দ্র চঞ্চল না হইয়াও চঞ্চল রূপে প্রতিভাত হয়, সেইরূপ যোগের সময় ভিন্ন অন্য সময়ে বুদ্ধিবৃত্তি ক্ষণে ক্ষণে মান বিষয়ে নানাআকারে পরিণত হওয়াতে আত্মাও সেই সেই আকার বিশিষ্ট বলিয়া প্রতীয়মান হন । চিত্ত-বৃত্তি সকলকে, মনোবৃত্তি সক
