২৫৩ থাকেন। ব্যাকরণ সম্বন্ধেও ঠিক এই রূপ দেখিতে পাওয়া যায়। এক্ষণে গ্রন্থ রচনার উদ্দেশ্য স্বতন্ত্র,-সাধারণে কোন নুতন পদার্থ পাইয়া নুতন জ্ঞান লাভ করি বে, এরূপ উদ্দেশ্য নব্য গ্রন্থকারগণের মধ্যে প্রায় অনেকের দেখিতে পাওয়া যায় না । গ্রন্থকারের প্রধান মনোবৃত্তি লোভ,—সুতরাং লোভেই পাপ, পাপেই মৃত্যু। যাহার মূলে অসৎবৃত্তি বিরাজ করিতেছে, তাহ কখনই সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দর হইণ্ডে পারে না । কোন ব্যক্তির এক খানি গ্রন্থ লিখিবার ইচ্ছা হইল, অমনি বাজারে কোন্ প্রকার গ্রন্থ অধিক বিক্রীত হইয়া থাকে, তাহাই তিনি অনুসন্ধান করিতে আরম্ভ করিলেন । দেখিলেন ভূগোল, কি ইতিহাস, কি ব্যাকরণ—ইহার যে খানিই হউক—প্রত্যেকেই ঘরে টাকা । অনিয়া দিতে পারে । ইহারই একখণনির সংখ্যা বৃদ্ধি করিবার জন্য তিনি ব্যস্ত হইলেন । তদ্বিষয়ক রাশি রাশি গ্রন্থ সংগ্ৰহ করিলেন । তফর বৃত্তির অনুবত্তী হইলেন। দুই চারি দিনের মধ্যে গ্রন্থ প্রস্তুত হইল । মুৰুব্বি भाड़ा করিলেন, পুস্তক কোন কোন বিদ্যালয়ে চলিতে লাগিল । গ্রন্থ প্রচারের এখন এই দুৰ্গতি, সুতরাং নুতন বিষয় পাওয়া কঠিন এই সকল দেখিয়া শুনিয়া কিছু দিন পূৰ্ব্ব হইতে আমিই এক খানি প্রলপ সাগর {জ্ঞানীস্থর বৈ৪, ১২৮৩ নুতন ব্যাকরণ লিখিতে প্রবৃত্ত হুইয়াছি ।- অদ্য তাহার কিছু আদর্শ পাঠক মহাশয়দিগকে উপহার দিল । বঙ্গভাষায় এই কয়টা ব্যঞ্জনবর্ণ আছে ;-ক খ গ ঘ চ ছ জ ঝ ট ঠ ড ঢ ত থ দ ধ ন প ফ ব ভ ম য় র ল ফাঁস ছ। পাঠক মহাশয় দেখুন, একবারে কতগুলি বর্ণ কমাইয়া দিয়াছি। বর্ণগুলি কমাইবার কারণ কি তাহা এ | স্থলে উল্লেখ করা নিতান্ত আবশ্যক, নতুবা সকলে আমাকে পাগল বলিতে পারেন । কিন্তু যিনি পাগল বলিবেন, তিনি যেন আমার পূর্ব কথাটা স্মরণ রাখেন । পাগল বলিলে আমাকে অতি উচ্চ পদবী প্রদান করা হয় । ঙ এবং এও এই বর্ণদ্বয়ের ব্যবহার বঙ্গভাষায় প্রণয়ই দেখিতে পাওয়া যায় না, সুতরাং বর্ণমালা মধ্যে উছাদের স্থান হওয়া উচিত নহে। নিরর্থক বণের প্রয়োজন নাই । বঙ্গভাষায় দুইট নয়ের উচ্চারণ গত বিভিন্নতা লক্ষিত হয় না ; তাহাতে আবার মুদ্রাকরের প্রেত মহাশয়ের অনুগ্রহে তাছার কিছুই ইতর বিশেষ দেখিতে পাই না। সুতরাং একটা ন থাকিলে যথেষ্ট । যদি এই নকার সম্বন্ধীয় ব্যবস্থা সৰ্ব্ববাদী সম্মত না হয়, তবে মোটামুটী এই সুত্রটা জানা থাকিলেই কাজ চলিতে পরিবে, যথা ; “ রান্তে নিমণত্রিক ”
পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৬৯
অবয়ব