পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ऊनश्ह्नि रैश:, ०२५७) “ও পাপ যেখানে প্রবেশ করিমাছে, সেখানেই সঙ্গে সঙ্গে নানা রোগ। মস্তিষ্কের ও চক্ষুর পীড়া হবেই হবে । একটা ছেলে। আগে না জানিয়া ইংরাজি অভ্যাস করিতে দিয়া বড়ই অন্যায় হইয়াছে। এখন আর ছাত নাই।” গঙ্গাগোবিন্দ জিজ্ঞাসিলেন, — “কেন, ৰুদ্ৰকান্ত বাবুর মস্তিক্ষের পীড় জম্মিয়াছে নাকি ?” বরদাকান্ত উত্তরিলেন,— *সে কথা কেন জিজ্ঞাসা করেন । বাবাজি মাথা ও চক্ষু লইয়া সমস্ত দিন কাত্তর ।” গঙ্গাগোবিন্দ সমস্তই বুঝিলেন। বুঝিলেন, মস্তিষ্কের পীড়াটা কেবল নেশার ঘোর। চক্ষুর ব্যাধি কেবল চস্ম ব্যবহারের সখ। সে কথা গোপন করিয়া কহিলেন,— “তবে তো বড় দুঃখের বিষয় ! একটা সন্তান, অতুল বিষয় । অনায়াসে নিশ্চিন্তু থাকিয়া জীবিক যাপন করিবেন। এ দৈব বিড়ম্বন বড় যাতনা । সকলই বিধাতার ইচ্ছ।” বরদণকান্ত পরমভক্তের ন্যায় কছি লেন;– “ভগবান তুমি সকলই করিতে পার יו • গঙ্গাগোবিন্দ বলিলেন,— বিমল | ఖరి 3 বরদাকান্ত কছিলেন,— “যত্বের কোনই ক্রট নাই।” গঙ্গাগোবিন্দ কছিলেন,— - “আপনার কুবেরের ভাণ্ডার। এক | মাত্র সস্তানের ব্যাধি শান্তির নিমিত্ত | আপনার দ্বারা যত্বের ক্রট হওয়া | কদািচ সম্ভব নছে। তবে এরূপ পীড়ায় | Y ছাড়া আরও কিছু সাবধানত অবশ্যক ।" বরদাকান্ত ঔৎসুক্য সহকারে জি- } জ্ঞাসিলেন,— - “কি রকম ?" গঙ্গাগোবিন্দ বলিলেন,— । “যৌবনে মনুষ্য শরীরে কতকগুলি | দোষ জন্মে । সেই দোষ গুলি যাহাতে | 3 : কম হয় তাহার চেষ্টা করা অবশ্যক।” ] বরদাকান্ত দন্তে রসন কটিয়া কৰি | লেন,— * - “রাধামাধব । বাবাজিউর শরীরে | কোনই দোষ নাই। তবে যদি কখন ! কিছু শুনিতে পান, সে অতি সামান্য। । যৌবনে নিতান্ত সাধু ব্যক্তিরও তাছা | থাকেই থাকে। সেজন্য পীড়ার কোন | হ্রাস বৃদ্ধি হয় না ।” d গঙ্গাগোবিন্দ মনে মনে বলি- | লেন,—“তোমার সর্বনাশ ।” প্রকাশ্যে বলিলেন,— “এমন দোষও শুনা যায় যাহা । কোন ক্রমেই সামান্য বলিয়া উড়াইয়া |