পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○8b" সমধিক আদরণীয় হইয়া উঠিয়াছে। দুঃখের কথা কি বলিব, আর্য্যধৰ্ম্ম শাস্ত্রের কোন বিশেষ প্রসঙ্গ জানিতে হুইলে উইলসন, জোন্স, গোল ডক্ট কার, মোক্ষমূলর, মুয়ার, ওয়েবর, কোলক্ৰক প্রভূতি বিদেশীয় পণ্ডিতগণের পদলেহন করিতে হয় । ভারভইতিহাস সম্বন্ধে তাহার কিছুমাত্র বিভিন্নত নাই। যদি কোন ব্যক্তি ভারতবর্যের ইতিহাস ংগ্রহে যত্নবান হয়েম, তবে তাহার উপকরণ সকল সাগরপার হইতে আহরণ করিতে হইবে, নতুবা গ্রন্থ সৰ্ব্বাঙ্গ সুন্দর হইবে না। এ সকল দুঃখের কথা কাহার কাছে কহিব ? কে শুনিবে ? পাশ্চাত্য সভ্যতায় দেশ মাতিয়াছে, সে মত্ত্বত হইতে দেশকে উদ্ধার করা সহজ ব্যাপার নছে । এ সকল প্রস্তাবাস্তরের কথা, সুতরাং এক্ষণে প্রকৃত প্রস্তাবের অনুসরণ করি। এক দেশের লোকের वॉल्ला সংগহীত দেশান্তরের ইতিবৃত্ত সৰ্ব্বাঙ্গ সুন্দর হওয়া মুকঠিন। এক কালে হইতে পারে না, এমন কথা বলিতে পারা যায় না । লিখিতব্য বিবরণের বিশেষজ্ঞ, নিরপেক্ষ লেখক হইলে অবশ্যই ঈপিন্সত ফল লাভ হইতে পারে, কিন্তু তাহা সচরাচর সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা কোথায় ? ইতিহাস সম্বন্ধে আরও একটা দোষ ঘটিয়াছে। যাহার ষাছা মনে আইসে, তিনি তাহাই লেখেন । প্রলণপ সাগর । (জ্ঞানfকুর অfঃ, ১২৮৩ সুতরাং সময়ে সময়ে ইতিহাস সম্বন্ধে অনেক নুতন কথা শুনিতে পাওয়া যায়। এরূপ লিখিবার অপর কোন উদ্দেশ্য দৃষ্ট হয় না, বোধ হয় লেখক মহাশয়ের কেবল বাহাদুরী লইবার জন্যই এরূপ করিয়া থাকেন। ভূতের বাপের শ্রদ্ধ লিখিয়া কতিপয় ভোঁভিক, আবধৌতিক যুক্তি প্রদর্শন করিলেন, সেই সঙ্গে সঙ্গে অদূরদর্শী পাঠক মণ্ডলী সমীপে পুরাতত্বজ্ঞ বলিয়া পরিচিত হইলেন । দেশে বিচার নাই—কেবল অবিচার । কোন বিজ্ঞ ব্যক্তি লিখিলেন,— “মহাভারত বর্ণিত ঘোরতর যুদ্ধের অনেক পরে রামচন্দ্র প্রাদুর্ভত হইয়াছিলেন ।” এ কথ। তাছাকে কে বলিয়া দিল ? লেখক স্বয়ং সংস্কৃতজ্ঞ নহেন, সুতরাং বিবিধ সংস্কৃত প্রাচীন গ্রন্থ হইতে ইহার কোন যুক্তি বাহির করিতে পাপারেন নাই, কেবল স্বকোপলকণিপত কতিপয় অসম্বন্ধ যুক্তি দ্বারা নিজের বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়াছেন। লেখক যে সকল যুক্তি দেখাইয়াছেন, সে গুলি লোক ভুলাইবার জন্য, তাহার সন্দেহ নাই। র্তাহার মনে যে প্রকৃত যুক্তি রহিয়াছে, তাহা ছয় তো প্রচ্ছন্ন রাখিয়াছেন। সে যুক্তি বোধ হয় আমরা কতক বুঝিতে পারিয়া থাকিব ; পাঠক বর্গের তদ্বিষয়ে অভিপ্রায় কি তাহা