} •ጋዕ b” কাষেই বাধ্য হই । এই রূপ দেখা যাইতেছে যে অবিদ্যার প্রভাবেই আমি আপনাকে মুখ দুঃখ মোছের ভোক্তা বলিয়া উপলব্ধি করি এবং সুখ দুঃখের মোহাত্মক বিষয় সকলকে ভোগ্য বলিয়া উপলব্ধি করি । এই রূপে আত্মা এবং বিষয়ের মধ্যে একটা অকাট্য যোগ নিবন্ধ হইয়া যায় । “ তদভাবাৎ সংযোগাভাবে স্থানং তৎদৃশেঃ কৈব ল্যং’ অবিদ্যার অভাব হইলেই সংযে - গের অভাব হয় এবং আত্মীর কৈবল্য লাভ হয়। কি উপায়ে অবিদ্যাকে দূর করা যায় ? না,“বিবেক খ্যাতিরবিপ্লব। হানোপায়ঃ " নিরবচ্ছিন্ন বিবেকই অবিদ্যানাশের উপায় । পুৰুষ স্বতন্ত্র এবং সুখ দুঃখাদির গুণ স্বতন্ত্র এই রূপ আত্মাকে বিষয় হইতে পৃথক করাকে বিবেক কহে । “ তস্য সপ্তধা প্রান্ত ভুমেী প্রজ্ঞ৷ ” কথিত রূপ বিবেক যাহাতে বৰ্ত্তিয়াছে তাছার প্রজ্ঞা প্রান্ত ভূমিতে সপ্ত প্রকার হয় । প্রান্ত ভূমিতে অর্থাৎ “ সকল সাবলস্বন সমাধি ভূমি পৰ্য্যন্তং ” অর্থাৎ সংপ্রজ্ঞাত সমাধির চরম সীমা পৰ্য্যন্ত । তাহার মধ্যে প্রথম চারি প্রকার প্রজ্ঞ। কাৰ্য্য-বিমুক্তিরূপ। প্রথম প্রকার প্রজ্ঞা এই যে, “ জ্ঞাতং মায়। জ্ঞেয়ং " জ্ঞেয় বিষয় আমার জানা হইয়াছে ; দ্বিতীয় প্রকার প্রজ্ঞা এই—জানিবার আর কিছুই অবশিষ্ট নাই ; তৃতীয় পাতঞ্জলের যোগশাস্ত্র । (জ্ঞানীকুর অtঃ ১২৮৩ প্রকার প্রজ্ঞা এই যে, আমার ক্লেশ সকল ক্ষয় প্রাপ্ত হইয়াছে, ক্ষয় প্রাপ্ত হইয়া আর কিছুই অবশিষ্ট নাই ; চতুর্থ প্রকার প্রজ্ঞা এই যে, আমি জ্ঞান লাভ করিয়াছি, আমি বিবেক প্রাপ্ত হইয়াছি। এইচারি প্রকার প্রজ্ঞ কার্ষ্য বিমুক্তি রূপ অর্থাৎ বাহ বিষয় সকল জ্ঞান হইতে উক্ত চারি প্রকারে বিরত হয়। পঞ্চম প্রকার প্রজ্ঞা এই যে, আমার বুদ্ধি চরিতার্থ হইয়াছে ; অর্থাৎ বুদ্ধির উদ্দেশ্য ষে আমার ভোগ সাধন ভাছ সম্পন্ন হইয়াছে । ষষ্ঠ প্রকার প্রজ্ঞা এই যে, গুণ সকল অধিকার ভ্রষ্ট হইয়াছে, অর্থাৎ আমার উপর মুখ দুঃখ মোহাত্মক ত্রিগুণের এখন আর কোন অধিকার নাই ; গিরিশিখর ভ্রষ্ট শৈলখণ্ডের ন্যায় গুণ সকল পুনরায় আর স্বস্থানে অধিরূঢ় হইতে পরিবে না। এবং অবিদ্যা রূপ মুলকারণ যখন আর নাই, এবং আত্মার ভোগ সমাপ্ত হওয়াতে যোগ্য বিষয়ের যখন আর প্রয়োজন নাই, তখন প্রলয়োম্মুখ গুণ সকল কি রূপেই বা এবং কেনই বা অঙ্কুরিত হইবে । সপ্তম প্রকার প্রজ্ঞা এই যে, আমার সমাধি আত্মনিষ্ঠ হইয়াছে, আমি আত্ম স্বরূপে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছি। যাছা বলা হুইল তাহা এই যে, বিবেক দ্বারা আত্মা এবং গুণত্রয় পরস্পর হইতে পৃথকৃঙ্কত হইলে, অবিদ্যা বিনষ্ট হইলে, সম্প্র
