ميامينامية মালবিকাগ্নিমিত্র যে কালিদাসের প্রণীত নয়, তদ্বিষয়ে আমাদের সন্দেহ মাত্র নাই। যদি কালিদাসের প্রণীত হইত, তাহা হইলে কাব্যপ্রকাশকার প্রাচীন কাব্যকার মাত্রেরই কাব্যের কোম না : কোন স্থল স্ব প্রণীত কাব্য প্রকাশে উদ্ধৃত করিয়া অলঙ্কারের উদাহরণ ও । কাব্যের দোষ গুণ বিচার করিয়াছেন, । উছাতে কালিদাসের অন্যান্য প্রায় সমুদায় গ্রন্থেরই শ্লোক ও স্থল বিশেষের উল্লেখ দেখা যাইতেছে, কিন্তু মালবিকাগ্নিমিত্রের নাম গন্ধ তাহাতে দেখিতে পাওয়া যায় না কেন ? 이 ঐ বিষয়ের বিশিষ্ট প্রমাণ, তাহা আমরা ও স্বীকার কfর না । কিন্তু ঐ মালবিকাগ্নিমিত্রই যে কালিদাসের সত্ত্বসত্ত্ববিষয়ের প্রকষ্ট প্রমাণ, তাহাতে আমাদের সন্দেহ মাত্র নাই । এ বাক্যের সত্যাসত্য বিষয়ে যাহঁীদের সন্দেহ হুইবে, তাহারা কালিদাসের যে কোন গ্রন্থের সছিত মালবিকাগ্নিমিত্রের একবার তুলনা করিয়া দেখিবেন যে, ভাষা, ভাব, রচনা কোঁশল, নায়ক নায়িকার বংশগরিমা, বর্ণনার সারূপ্য কিছুই কালিদাসের সছিত মিলিবে না। সাধারণের বিশেষ দৃষ্টির জন্য আমরা এস্থলে উছার দুই একটী স্থলের উল্লেখ করিতেছি। ভাব ওগ্রহণ করিতে গিয়া ভাষা ত বের ব্যত্যয়,— যে S3 শকুন্তল i (জ্ঞান কুর শ্রাঃ, ১২৮৩ মালবিকাগ্নিমিত্রে—- প্রথমামিব পল্লবপ্রস্থতিং হরদগ্ধস্য মনোভবক্রমস্য ॥ (১) শকুন্তলায়— হরকোপাগ্নিদগ্ধস্য দৈবেনামৃতবর্ষিণ । প্ররোহঃ সন্থতো ভুযঃ কিংস্বিৎ কামতরোরয়ম্ ॥ (২) ১) এস্থলে প্রথমত দগ্ধর ক্ষের পল্লবপ্রস্থতিইত অসম্ভব । দ্বিতীয়ত, কর্কশ ভাষার অপরিপক্কত। এবং ভাবের ও ব্যতার ঘটিয়াছে । ২) ইহা শুনিতেও যেমন কর্ণসুখকর ভাবেও সেইরূপ হৃদয় তৃপ্তিকর। দুষ্মন্ত যখন শকুন্তলার করম্পর্শ কfরয়াছেন, তখন তাইণর মনোরক্তি শকুন্ত লার অন্যান্য অঙ্গের অবধ ৰণে সক্ষম হয় নাই, কামরূপ বীজের যাহ। কিছু সম্পত্তি তাহণ তিনি সেই করেই পাইয়ণছিলেন,এইজন্যই কালিদাস ওস্থলে মনোভবক্রমের পল্লব করেন নাই অঙ্কুর মাত্রই করিয়াছেন। শুদ্ধ উন্থ। বলিয়াই যে কবির চিত্তরত্তি পরিতৃপ্ত হইয়াছে, তাছ নয় ; যে অঙ্কুর দুষ্মন্ত করে নিহিত হইয়াছিল সে অঙ্কুর দৈবদত্ত অমৃতরসেই অঙ্কু fরত, অমৃতৱসেই তাপুত অমৃত-ম্পর্শে নিজীব | সজীব হইয়া থাকে, উহাই হরকেগপগ্নিদগ্ধ কামের সজীবতার কারণ । আবার দুষ্মন্ত যে শুদ্ধ সজীব কামাকুর করে পাইয়াছেন, তাহ নয়, যে অমৃতের বলে দেবতার অমর, অদ্বিতীয় ঐশ্বর্য্যবান, সেই অমৃতেই রঞ্জিত কমের অঙ্কুর
