৩৯৬ রসসাগর । (জ্ঞামাকুর শ্রাঃ, ১২৮৩ তে পারেন, তিনি যে অপ্রাকৃত মনুষ্য তাহাতে আর সন্দেহ কি ? যামিনীকে বন্ধ্য। কামিনী সাজাইয়া রসসাগর মহাশয় উক্ত প্রশ্নের সমাধাশ করিয়া ८छ्न ! এক জন অতি দরিদ্র ছিলেন, হঠাৎ কোন রাজসংসার ভাঙ্গিয়া এক কালে ধনসম্পত্তিশালী হইয়া উঠেন। এক সময়ে তিনি অনেক অর্থব্যয় স্বীকার করিয়া তুলা করেন । তাছাতে অনেক ব্রাহ্মণ পণ্ডিত নিমন্তিত হইয়া আইসেন, রসসাগরও তমুধ্যে ছিলেন । রসসাগরের অবয়ব দেখিলে তাহাকে বড় লোক বলিঘা বোধ হইত না । কৃতী দান দিবার সময়ে রসসাগরকে যৎকিঞ্চিৎ দিয়াছিলেন, কিন্তু নিকটে যে ব্যক্তি উপস্থিত ছি লেন, তিনি রসসাগরকে বিলক্ষণ রূপে চিনিতেন, তিনি কছিলেন, মহাশয় করিলেন কি ! ইনি নবদ্বীপাধিপতির সভাপণ্ডিত রসসাগর । কৰ্ম্মকৰ্ত্ত ঈষৎ পরিছাসের সহিত কছিলেন “ইনিই কি রসসাগর ? সাবাস সাবাস, সাবাস ” এই পরিহাস বাক্যে রসসাগর কিঞ্চিৎ ৰুষ্ট হইয়া নিম্ন লিখিত শ্লোক রচনা করিলেন;– ধন্য রে বিধাতা তুই যারে যখন মাপাস। রাজ্য ভেঙ্গে ছাতীর বোঝা গণধার পিঠে চাপশস । তুলে কত্যে মূলো দান, বেরিয়ে পলে কাপাস । ডল তে ডলতে মাকাটা বেৰুলে। সাবাস, সাবাস সাবাস ॥ একদা প্রশ্ন হইল “অমাবস্যা গেল আবার পের্ণিমাসী এল ।” রসসাগর তাহার এই রূপ পূরণ করিলেন;– ইরে বিধি নিদাৰুণ কত খেল খেল । সংসারের যন্ত্রণাযত হাৰাতের ঘাড়ে ফেল। বেতোরোগীকেঁদে বলেকোম্ দিন বা ভাল অমাবস্যা গেল আবার পৌর্ণ মাসী এল এক দিন মহারাজ আনন্দময়ী দর্শনে গমন কালে পথিমধ্যে দেখিলেন, যে এক জন খীষ্টান ধৰ্ম্ম প্রচার করিতেছেন । র্তাহার ভাব ভঙ্গী দেখিয়া জনৈক রাজ সহচর কহিলেন “ইনিই আবার বড় লোক ?” মহারাজ রসসাগরের প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া প্রশ্ন করিলেন ‘ ইদুর বড় সাঁতাৰু তার মার্গে খুদের পরে ’ রসসাগর তৎক্ষণাৎ উপস্থিত ঘটনা সুত্রে নিম্ন লিখিত শ্লোকটী পূরণ করিলেন । ভক্ত হলেন খ্ৰীষ্টান, দেবতা হলেন ঈশু । সেই ধর্মে রত হলেন, যত নর পশু । সতী গেলেন অধোগতি, স্বর্গে যাবে জেরো । । ইষ্ট্রর বড় সাতগৰু তার, মার্গে খুদের পরে ।
পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪১৫
অবয়ব