« ፃ: কামনা করেন। উৰ্ব্বণী স্বীকৃত হইলেন, কিন্তু সুৰ্গ গমনের সুবিধার জষ্ঠ (২) রাজাকে দুইটী নিয়মে বদ্ধ করিলেন । ঐ নিয়মন্বয়ে রাজাকে বদ্ধ করিবার তাৎপর্স্য এই মে, রাজ যেরূপ ক্ষমবান, তাহাতে দেব গন্ধৰ্ব্ব ভিন্ন কোন মানবই তাহার অং ংপুর হইতে ঐ মেঘদ্বয় লইয়া যাইতে পারিবে না । অতএব যখন দেবতা কি গন্ধৰ্ব্বগণ আমার প্রতি দয়াপরবশ হইয়া আমার শাপ মোচনের চেষ্ট করিবেন, তখন তাহারই প্রভাব দ্বারা আমার নিয়ম বৃত্তান্ত অবগত হইয়া উহা অপহরণের চেষ্টা করিবেন। তাছাতেও অন্য একটা অনিষ্ট ঘটিবার সম্ভব ; কারণ রাজা দৈত্যযুদ্ধে ইন্দ্রের সন্থায়, কিন্তু ষ্টাহাদিগের দ্বার যদি ঐ মেষ অপহৃত হয়, তাহা হইলে রাজার সহিত দেবতাদিগের বিরোধ ঘটিার সস্তাবন । অতএব যাহাতে তাহা না ঘটে, এই জন্য “আপনাকে উলঙ্গ দর্শন করিলে থাকির ন৷” এই দ্বিতীয় নিয়ম করিলেন। কারণ পূৰ্ব্বেক্ত নিয়মটা অষ্ঠের আয়ত্ত, দ্বিতীয়ট (২) হরিবংশে এইরূপ আভাসই লিখিত হইয়াছে। " শকুস্তল । (জ্ঞানালু কাঃ ১২৮৩, রাজারই আয়ত্ত। স্থত তৈজস পদার্থ, তদ্ভক্ষণে পার্থিবভাব সঞ্জাত হইতে পরিবে না ; এই জন্তাই কেবলমাত্র ঘৃতাহারেই অভিৰুচি । দেবতারা ইঙ্গিত করিলেই ত উৰ্ব্বণী । যাইতে পারিতেন, তবে নিয়ম সংস্থাপনের কারণ কি ? আর কিছুই নহে, উৰ্ব্বশী জাতীয় ভাবে (বেশুর ভাব ) বিশেষ পরিপক্ক থাকিয়াও পুন্ধরবার রূপদৰ্শনে এত দূর বিমোহিত হইয়াছিলেন, ষে পাছে রাজার প্রেমে সাতিশয় আসক্ত হইয়া পরে স্বৰ্গবাসের বাসন অবধি উন্মুলিত হয়, এই আশঙ্কাতেই স্বৰ্গপ্রণয়িণী স্বৰ্গকামিনী ঐ নিয়মে রাজাকে বদ্ধ করিয়া তাহর সহিত ভোগ সুখে প্রবৃত্ত হন । কিন্তু স্বভাবের মাহাত্ম্য সহজে যাইবার নহে। কিছু দিন পরে উৰ্ব্বণীর সে মুখের চরিভার্থতা জন্মিল, এ দিকে মেষও অপহৃত হইল। মেষ অপহৃত হইলে যাহাতে রাজার ক্রোধ উদ্রিক্ত হয়, এই ভাবে উৰ্ব্বশী নানা প্রকার আক্ষেপ করিতে লাগিলেন । (৩) রাজা উলঙ্গ ছিলেন উঠিলেন । গন্ধৰ্ব্ব (৩) ভাগবতে রাজার সহবাস পরিহার পূর্বক প্রস্থান করিবার অভিলাষে বলিতে লাগিলেন । “হতাস্ম্যহং কুনাথেন নপুংসা বীরমানিনা । যদ্বিশ্ৰস্তাদহং নষ্টা হৃতা চ পশ্চাত্যা
