জ্ঞানাঙ্কর পৌঃ, ১২৮২) র্তাহার চিত্ত অধিকার করিতে পার তাহার চেষ্টা কর, তাহ হইলেই তোমার রূপ বাড়িবে। অতএব তুমি বৃন্দাবন গিয়া স্বামীর চরণ ধরিয়া সাধনা কর । ছে কুটিল-কটাক্ষ-বর্ষিণী কামিনীগণ ! হে মুকুর হস্ত সুন্দরি ! হে সৌন্দৰ্য গৰ্ব্ব গৰ্ব্বিত রমণীগণ! তোমরা ক্ষাত্ত হও । তোমাদের রূপের বড়াই ভ্যাগ কর । তোমাদের শরীরে এক বিন্দুও রূপ নাই । আমি তোমাদের তাই বলিয় নিন্দনীয়া বা কুৎসিতা বলিতেছি না । হইতে পারে —তোমার লোচন-যুগল পটল চেরা, বা ইন্দাবর তুল্য বা পদ্মপলাশবৎ ; তোমার নাসিকা তিলফুল অপেক্ষণও উত্তম ; তোমার পীন পয়েধির দাড়িম্ব অপেক্ষীও আশ্চৰ্য্য ; তোমার সৌন্দৰ্য্য বাহুদ্বয় মৃণাল অপেক্ষণও সুকুমার ; ! তোমার অঙ্গুলি নিচয় চম্পক কুসুম সদৃশ ; তোমার উৰু-যুগল রামরস্তা অপেক্ষণ ও ভয়ানক ; তোমার বর্ণ র্কাচা হরিদ্রর ন্যায়। - সংক্ষেপতঃ তোমার به وی ফুড়িা তাছাতে দেড় মন নথ বলাও, কান ফুড়িয়া তাহাতে রাজ্য সমেত বোঝা দোলাওঁ, দুঃখ রাখ কেন, সেনার পাথর গলায় বাধিয়া বাসন স্রোতে সঁতার খেল, দিনে দুপুরে পুৰুষ মহাজনদের মন চুরি করিয়া স্বয়ংই-তার সাজা স্বরূপ অগ্ৰে পায়ে রূপার বেড়ী দিয়া অাদরের কয়েদী হইয়া বসিয়া থাক, আর যা খুলী হয় তা কর, কিন্তু এ'নিশ্চয় জানিও যে তাতে রূপ বাড়িবে না বরং কমিবে । তোমরা বাহির সাজাইতে চেষ্টা করি ও না তাহাতে কেবল হিতে বিপরীত ঘটিবে । দরিদ্র শিশু তোমাদের এবেশ দেখিতে পাইলে, কোন নুতন জীব দেখিলাম ভাবিয়া কাদিয়া ফেলিবে, আর জগদ্বিখ্যাত ভীৰু বাঙ্গালী পুৰুষ তোমাদের এই রণরঙ্গিণী বেশ দেখিয়া বিশেষ ক্ষুধু মুখ নাড়া নয়, উপরন্ত নথ নাড়ার ভয়ে অস্থির হইয়া উঠিবে। তাই বলি তোমরা বাহির সাজাইতে চেষ্টা করিও না । নাক ফেঁাড়া ফুড়িতে আর কাজ শরীর মহানু অশ্বখ গছু হইতে অতি, নাই, যাতে আত্মার डेबछि श्श, ক্ষুদ্র ঘাস পর্যন্ত যাবতীয় বন জঙ্গলের আদর্শস্থল ইহা অামি স্বীকার করিলাম। বিন ওজরে ইহাও স্বীকার করিতেছি যে, তোমার দেহস্থিত অঙ্গ প্রত্যঙ্গের বিন্যাস অতি মনোরম, কিন্তু মন না থাকিলে তুমি কোন্ কাজের ? তোমার ও রূপ রাশি অতি ছার, নাক অন্তর সজীভূত হয়, তাহার উপর বিধান কর—তোমার রূপ রাশির কখন ধ্বংস হুইবে না, তোমার পার্থিব কায় স্বগীয় মুর্তি ধারণ করবে, প্রেমিকের চক্ষে তোমার সৌন্দৰ্য্য অতুলনীয় বলিয়া বোধ হইবে । প্রেমিকের মনের গুণে তোমার রূপ ।
পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৭৪
অবয়ব